বরিশালে পশুর হাটে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়, দামও চড়া

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

ঈদুল আজহা বাকি আর মাত্র দুইদিন। ইতোমধ্যে ভরে গেছে বরিশালের পশুর হাটগুলো। কোরবানির পশু কিনতে ভিড় জমিয়েছে মানুষ। চলছে ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষি। তবে দাম বেশ চড়া বলছেন ক্রেতারা। প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় পশু বিক্রি করছে না বিক্রেতারা।

শনিবার বরিশালের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। প্রতিটি পশুর হাটে গরু-ছাগলের ও খামারিদের পাশাপাশি ক্রেতা দিয়ে হাট কানায় কানায় পূর্ণ।

শনিবার দুপুরের পর থেকে হাটে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। পছন্দের গরু কিনতে চলছে দর কষাকষি। দাম সাধ্যের মধ্যে হলে কুরবানির গরুটি কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।

নাসির উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা এসেছেন কাউনিয়য়া টেক্সটাইল মোড়ের পশুর হাটে। তিনি বলেন, গরুর অভাব নেই তবে দাম অনেক বেশি। কেজি ৬০০ টাকা ধরেও মাংস অনুপাতে যে গরুর দাম ৮০ হাজার টাকা হওয়ার কথা, ওই গরুর দাম হাকাচ্ছে দেড় লাখ টাকা। যে চড়া দাম দেখা যাচ্ছে আজকে মনে হচ্ছে কিনতে পারব না।

 

সবুজ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ভেবেছিলাম দুপুরের পর দাম কিছুটা সাধ্যের মধ্যে আসবে কিন্তু এখনো কেনাবেচা পুরোদমে শুরু হয়নি। পাইকাররা গরু ছাড়ছে না বাজার দেখছে। ঘুরছি পছন্দ হলে কিনবো তা না হলে কাল আবার আসবো।

কাগাশুরা পশুর হাটে গরু কিনতে আসা আবুল হোসেন বিক্রেতার সঙ্গে দর দাম করছে। তিনি  বলেন, গরুর বেপারি দাম চেয়েছিল এক লাখের উপরে। ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনলাম; হাসিল (খাজনা) নিয়ে ৮০ হাজার পড়ে যাবে। দাম খুব চড়া। তারপরও কি আর করা, কুরবানির গরু পছন্দ হয়েছে তাই কিনলাম।

গরুর দামের বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর থেকে আসা খামারি সোহাগ জানান, কসাইর মাংসের হিসেবে কোরবানির পশু বিক্রি করা যায় না। তাছাড়া গরুর দাম অত বেশি না। আমাদের গরুপ্রতি ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বড় হোক আর ছোট, সব গরুর ভাড়া একই। তাদের খাওয়ার খরচও এক, তাই সামান্য একটু দাম বেশি হতেই পারে।

বাজার সম্পর্কে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দাম বেশি। বিক্রেতারা এখনো গরুর দরদাম দেখছেন। গরু ছাড়তে চাইছেন না তারা।

 

এদিকে গরুর পাশাপাশি ছাগলও কেনা-বেচা হচ্ছে। তবে গরুর মতো ছাগলের দামও চড়া। ছোট আকারের ছাগল বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। তবে ২০ থেকে ৩০ কেজি ওজনের ছাগলের বেশি চাহিদা। এসব ছাগলের দাম হাকা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া বড় আকারের ছাগলও হাটে উঠেছে।

জাতীয়প্রচ্ছদরাজনীতি এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
লাইফ সাপোর্টে থাকা অভিনেতা ও নির্মাতা হুমায়ূন সাধু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে ফারুকী বলেন, রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ূন সাধু। সেখানেই তার মৃত্যু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন সাধুর প্রথম ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন তাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এরপর তাকে বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচারেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০ অক্টোবর হঠাৎ সাধুর দ্বিতীয় ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পথ চলা শুরু হুমায়ূন সাধুর। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটকও নির্মাণ করেছেন তিনি।
৬ years ago