তিন মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে কারাফটকের সামনে সুষ্মিতা। সকাল থেকে স্বামী তুষার রাজের মুক্তির অপেক্ষায় ক্ষণ গুনছেন। অবশেষে বেলা আড়াইটার দিকে সেই অপেক্ষার প্রহর ফুরাল, মুক্তি পেলেন তুষার। যিনি সুষ্মিতার মায়ের করা অপহরণ মামলায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত।
গত পহেলা আগস্ট হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশের অনুলিপি যাচাই করে বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়। মুক্তি পেয়ে কাছে টেনে নেন সন্তান ও স্ত্রীকে। মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি জানান তুষারের আইনজীবী মো. সাদ্দাম হোসাইন।
মুক্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় তুষার বলেন, আমার পিতা-মাতা ও স্ত্রী আমাকে মুক্ত করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই আইনজীবীদের প্রতি যারা আমাকে আইনি সহায়তা দিয়েছেন। তারা আইনি সহায়তা না দিলে হয়ত আমাকে জেলেই থাকতে হত। মুক্ত হতে পেরে আমি খুশি। শরীয়তপুরের সুষ্মিতা ও তুষার ভালবেসে বিয়ে করেন প্রায় দুই বছর আগে। তাদের কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। কিন্তু শুরুতেই এই বিয়ে মেনে নিতে না পেরে মেয়ে নাবালিকা এই অভিযোগ তুলে তুষারের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করা হয়।
ওই মামলায় তুষারকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ আ. ছালাম খান। গত ২৩ জুলাই রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ওই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তুষারকে জামিন দেয় হাইকোর্ট।