বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম ডেঙ্গু। প্রতিদিনই এই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন মহল ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলে আদতে কাজ হচ্ছে না কিছুই। প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মরছে মানুষ।
তবে এই এডিস মশার লার্ভা সাধারণত স্থায়ী পানিতে বিস্তার লাভ করে। এছাড়া জমে থাকা বৃষ্টির পানি, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের ব্যাগ, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের বোতলসহ অনেক কিছুতেই বংশ বিস্তার করতে পারে এই মশা। ইতিমধ্যে এডিস মশা নিধনে ঢাকাসহ দেশব্যাপী অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে বরিশাল নগরীর বহুতল ভবনগুলোর ছাদে পানি জমে আছে কিনা তা দেখতে ড্রোন ব্যবহার করছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, নগরীতে কয়েক হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। সবগুলো ভবনের ছাদে ওঠা সম্ভব নয়, তাই ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সরাসরি তদারকি করছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীতে ডেঙ্গু দেখা দেয়ার পর থেকেই বরিশাল নগরীতে সচেতনামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। অফিস, আদালত, বসতবাড়িতে যে সব স্থানে এডিস মশার বংশবিস্তার হতে পারে তা পরিস্কার রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে। মেয়র জানান, বহুতল ভবনের ছাদে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগি পরিবেশ বা লার্ভা রয়েছে কিনা তা সন্ধানে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
কোথাও এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগি পরিবেশ দেখা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাচ্ছেন কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। কোন ভবনে লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মেয়র।