আবারও উত্তর কোরিয়া দুইটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস)। শুক্রবার ভোরের আগে পূর্ব উপকূলের সাউথ হামগিয়ং প্রদেশের ইয়ংহাং এলাকা থেকে জাপান সাগরে এ ক্ষেপণাস্ত্র দুইটি ছোড়া হয়, বলছে তারা। এ নিয়ে পিয়ংইয়ং ৮ দিনের মধ্যে তৃতীয় দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো।
তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধরন কিংবা পরীক্ষা নিয়ে উত্তর কোরিয়া বা তাদের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। এদিনের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২৫ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়ে ২২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে বলে ধারণা দিয়েছে জেসিএস। এ ধরনের অন্য ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে এগুলো তুলনামূলক বেশি গতির, ভাষ্য বিশ্লেষকদের।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, শুক্রবারের দুইটিও উত্তরের ছোড়া আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মতোই নতুন ধরনের স্বল্প পাল্লার হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রও নতুন, বলেছেন ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের সিনিয়র ফেলো অঙ্কিত পান্ডা।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক মহড়ার প্রস্তুতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে উত্তর কোরিয়া একের পর এক এ পরীক্ষা চালাচ্ছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
এর আগে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অর্থবহ আলোচনায়’ বসতে আহ্বান জানিয়েছে। পিয়ংইয়ং যতদিন পর্যন্ত পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ইতি না টানবে ততদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি বলবৎ রাখার পক্ষেও মত তাদের।
তবে উত্তরের এ ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্বিগ্ন করেনি। ওহাওতে রিপাবলিকান পার্টির এক প্রচার সমাবেশে রওনা হওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এগুলো স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে আমাদের চুক্তি হয়নি। আমাদের কথা হয়েছে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে। এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে আমার সমস্যা নেই। দেখা যাক কি হয়। মনে হচ্ছে, সবই আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে।’