রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এখন এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলছে। তাই ডাবল লাইন না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় বন্ধ করা যাবে না।
সোমবার রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঈদের (ঈদুল আজহা) আগাম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। রেলপথমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলসচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহানসহ রেলের পদস্থ কর্মকর্তারা।
ঈদুল ফিতরের মতো রাজধানীর পাঁচ স্থানে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হয় সকাল ৬টা থেকে। দেখা গেছে, নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার আশায় টিকিট ক্রয়ে রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছেন হাজারো মানুষ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছে কেউ আগের দিন। আবার কেউ ভোর থেকে প্রত্যাশিত টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন।
আগাম টিকিটের প্রথম দিন সোমবার বিক্রি হয় আগামী ৭ আগস্টের টিকিট। আজ মঙ্গলবার বিক্রি হবে ৮ আগস্টের টিকিট, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, গতবার আগাম টিকিট বিক্রির পরিস্থিতি একটু এলোমেলো ছিল। এবার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে, উন্নতি হয়েছে। আগামী ১২ আগস্ট সম্ভাব্য ঈদুল আজহার তারিখ ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এখানে র্যাব, পুলিশ ও রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীসহ সবাই একসঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
এবারও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না—যাত্রীদের এমন অভিযোগের ব্যাপারে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ৫ লাখ লোক যদি এক সঙ্গে টিকিটের জন্য অ্যাপসে হিট করে তাহলে টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমরা অ্যাপসের টিকিট দিচ্ছি ১০ হাজার। এর মানে আমি ৪ লাখ ৯০ হাজার লোককে টিকিট দিতে পারছি না। কাজেই তাদের ভয়েস বেশি হবে।