‘মজার ইশকুল’ এর সাথে আমার হৃদ্যতা কয়েক বছর হতে চললো। ওখানকার ভলান্টিয়াররা যা করে তা অনেক সমাজপতিরাও করেন না।
এই ছেলে মেয়েগুলো নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়। ওদের প্রতি আমার ভাললাগা আর ভালবাসা অনেক বেশি কারণ ভাল কাজ করে ওরা বিপদে পড়েছিল!
ঠিক ওদের বিপদে পড়ার সময় থেকে ওদের প্রতি আমার ভীষণ মায়া পড়ে যায়! ওরা কাজ করে সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ শিশুদের নিয়ে। এমনকি যে সকল শিশুরা অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠে তাদেরকে সুস্থ পথে এনে মূল স্রোতে মেলানোর একটা দুরুহ কাজও তারা করে থাকে।
ওরা নিজেরাই ছোট ছোট বাচ্চা হয়ে অন্য বাচ্চাদের জন্য নিবেদিত প্রাণ! এরকম ভালবাসার মানুষদের ভাল না বেসে পারা যায়! এখন অত সময় পাই না তারপরেও মাত্র ১০ মিনিটের জন্য গিয়েছিলাম স্বর্গীয় পাখিদের মিলনমেলায়। আমাকে ওরা ভীষণ ভালবাসে; এই ভালবাসার টানেই আমাকে ফিরে ফিরে যেতে হয় ওদের কাছে…
এই মজার ইশকুল’র সাথে জড়িয়ে আছে আমার অত্যন্ত প্রিয় ৩ জন মানুষ( আসিফ এনজাত রবি, শরিফুল হাসান ভাইসহ ছোট ভাই আরিয়ান আরিফ)। এই একটি কারণে স্কুলটির প্রতি আমি ও আমার স্ত্রী’র ভালবাসাও দিন দিন আরও প্রবলতর!
মজার ইশকুল সমগ্র বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিত্ব করার জায়গায় উঠে আসুক কারণ এই উঠে আসায় উঠে আসবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা- যা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হবে। হোপ ফর দ্য বেস্ট ‘মজার ইশকুল’।
লাভ ইউ অল
লেখক : পুলিশ কর্মকর্তা
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)