এফআর টাওয়ার জালিয়াতিতে রাজউক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় রাজউকের সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বনানীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

জানা যায়, মামলার এহাজারভুক্ত আসামি সদরুল আলমকে সোমবার রাতে রমনা থানা হাজতে রাখা হবে। মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হবে বলে জানায় দুদক। নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে ১৬ থেকে ২৩ তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে গত ২৫ জুন এফআর টাওয়ার ভবন মালিক, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে একটি মামলার আসামি সদরুল আলম।

গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ নিহত হওয়ার পর এই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয়গুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার।

অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি নকশা অনুমোদনে বিধি লঙ্ঘন এবং নির্মাণের ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয়।

দুদকের করা এক মামলায় রাজউকের ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারকে ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা করা, উপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেওয়া ও বিক্রি করার অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, এফ আর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটির সভাপতি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর-উল- ইসলামের নাম রয়েছে এ মামলার আসামির তালিকায়।