বিদেশ যেতে আদালতের অনুমতি লাগবে খালেদার

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতির দুই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ জামিন মঞ্জুর করেন।

তবে জামিনের শর্তে পরবর্তীতে বিদেশ গেলে খালেদা জিয়ার আদালতের অনুমিত নিতে বলে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। এদিন আদালতে খালেদার হাজিরা উপলক্ষে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীই সেখানে আসেন। এর মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুর কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মোশাররফ হোসেন অন্যতম।

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই দুই মামলাই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালত।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অপরদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দু’বছর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।