অনলাইন ডেস্ক: চাকরিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বৈষম্য দূর করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কিছু শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অধিকার বঞ্চিত সাধারণ প্রকৌশলীবৃন্দের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী ও আন্দোলনকারী নাজমুল হাসান টিপু জানান, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ কিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে আসছে। আমরা চাকরি চাচ্ছি না, মেধা যাচাইয়ের সুযোগের পর চাকরি চাই। শুধুমাত্র একটি ফল পুরো শিক্ষা জীবনকে নষ্ট করে দিতে পারে না।
সাম্প্রতিক সময়ে ডেসকো, ডিপিডিসি, ওজোপাডিকো, আশুগঞ্জ ও পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং পিজিসিবি’র সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫-এর স্কেলে ন্যূনতম ৪.০০/৩.৫০ চাওয়া হয় এবং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং-এ সিজিপিএ ৪-এর স্কেলে ন্যূনতম ৩.০০/২.৫ চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে টিপু বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই এবং বিদ্যুৎ বিভাগে আওতায় পাওয়ার জেনারেশনে চাকরি করার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু শিক্ষাজীবনের এ দীর্ঘপর্যায়ে আমরা তিনটি পরীক্ষাতেই (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক/ ডিপ্লোমা ও স্নাতক) সর্বোচ্চ ফল করতে পারি না। কিন্তু আমাদের সবারই স্বপ্ন থাকে চাকরির পরীক্ষায় নিজের মেধা যাচাইয়ের। কিন্তু এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
‘দেশের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষা- বিসিএসে যেখানে একটি তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য, সেখানে এসব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সহকারী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগবিজ্ঞপ্তিতে অন্তত একটি দ্বিতীয় বিভাগও গ্রহণ করছে না! ফলে আমরা একটি বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী হতাশায় দিনাতিপাত করছি’- যোগ করেন টিপু।
‘এজন্য আমরা ডিপিডিসি অফিসে এমডির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার সহকারী আমাদের অপমান করে বের করে দেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রকৌশলীরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগসহ অন্যান্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে উপ-সহকারী ও সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যেন এমন বৈষম্য না হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।