নেইমারের দুর্দশা যেন কাটছেই না। কদিন আগেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের উপর। অভিযোগ করা সেই নারীর মতে, গত ১৫ মে প্যারিসের এক হোটেলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন নেইমার। তবে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন এই তারকা খেলোয়াড়।
সামনেই শুরু হচ্ছে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা। আর এই আসরকে সামনে রেখে ব্রাজিলের প্রাণভোমরা হলেন নেইমার। কিন্তু এই ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে অনুশীলনে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছেন না তিনি, বললেন দলটির কোচ তিতে। এমনকি তার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এই ফুটবলার।
অনুশীলনে ব্রাজিল কোচ তিতের সঙ্গে একান্ত ব্যক্তিগত কিছু আলাপচারিতা হয়েছে নেইমারের। সেই আলাপ নিয়ে কোচ তিতে বলেন, ‘এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নেইমার কান্নায় ভেঙে পরেছে। এতো বিভ্রান্তি নিয়ে সে ক্লান্ত। আমার সামনেও সে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ব্যক্তিগত আমি তার সঙ্গে দুইবার কথা বলি। শুধু আমি আর সে। আর কেউই ছিল না সেখানে। সেখানে অর্ধেক সত্য ছিল না। এই মামলা এখন আমাদের কাজের উপর প্রভাব ফেলছে।’
এই বিষয়ে নেইমার পাশে পেয়েছেন তার ব্রাজিল সতীর্থদেরকে। ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহো বলেন, ‘খবরটা শুনে আমি অবাক হয়েছি এবং সেই সঙ্গে দুঃখ পেয়েছি। কিন্তু আমি মনে করি এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। আমি বিশ্বাস করি নেইমার নির্দোষ।’
ধর্ষণের এই অভিযোগ অস্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন নেইমার। সেখানে তিনি বলেন, ‘চার দেয়ালের মধ্যে একজন নারী এবং পুরুষের সম্পর্ক হয়েছিল। তার পরের দিন এ নিয়ে কিছুই হয়নি। তাই আমি আশা করছি, তদন্তকারীরা এই ম্যাসেজগুলো পড়বেন এবং সেদিন যা ঘটেছিল তা বুঝতে পারবেন।’
১৫ মে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনা নিয়ে ঐ নারী জানান, নেইমার নিজেই তার (মামলার বাদীর) ব্রাজিল-প্যারিস টিকিট এবং হোটেল বুকিং করে। পরে ১৫ মে’তে সে নারী প্যারিস পৌঁছান। একইদিন রাতে নেইমারও সে হোটেলে যায়। তখন সে (নেইমার) মদ্যপ অবস্থায় ছিলো এবং সে নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ আচরণ শুরু করে। পরে সে নারী বাধা দিলেও জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে নেইমার।