ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী ২০১৬ সালেই বলেছিলেন, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। ইসরাইল যদি (ইরানকে আক্রমণ করার মতো ) কোনো ভুল বা অন্যায় করে বসে তাহলে আমরা তেল আবিব এবং হাইফা নগরীকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেব।
২০২২ সালের আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের আধিপত্যকামী দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইল বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল এখন অনেক দুর্বল ও অনিরাপদ। ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন ইসরাইলি নাগরিকরা উদ্বিগ্ন ও সন্দিহান।
‘নিউইয়র্ক পোস্ট’ কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, ১০ বছরের মধ্যে ইসরাইল আর থাকবে না। অর্থাৎ কিসিঞ্জারের মতে ২০২২ সালে ইসরাইল আর বিদ্যমান থাকবে না।
দেশটির পৃষ্ঠপোষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ইসরাইলের যুদ্ধে জেতার দিন পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। এখন যদি ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করে তাহলে সেই যুদ্ধ দেশটির ইচ্ছায় শেষ হবে না।
যুদ্ধ যদি প্রলম্বিত ও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে ইসরাইল ভয়াবহ ও অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে এবং তা ইসরাইলের অস্তিত্বকেই করবে হুমকিগ্রস্ত বলেও জানিয়েছেন পৃষ্ঠপোষকরা।
এছাড়া ইসরাইল আরব বসন্ত, ইসলামি জাগরণ এবং ইরানের উত্থানের সমম্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিনপন্থী ভবিষ্যৎ শক্তিকে মোকাবেলা ও প্রতিহত করতে পারবে না বলে ১৬টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা একমত পোষণ করে।
Holiday পত্রিকায় ২০১৩ সালের ১২ মার্চ মার্কিন লেখক Kevin Barrett একটি প্রবন্ধ লেখেন।
‘Kissinger, US intelligence endorse a world without Israel’ শিরোনামের প্রবন্ধে বলা হয়, কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হেনরি কিসিঞ্জার এবং আরও ১৬টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা একমত প্রকাশ করেছেন যে, অতি নিকট ভবিষ্যতে ইসরাইল আর টিকে থাকবে না।
কিসিঞ্জারের মতো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদিও নির্দিষ্ট করে সময়সীমার কথা উল্লেখ করেনি। কিন্তু তারা (১৬টি গোয়েন্দা সংস্থা) ৮২ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিল, একটি ইসরাইলোত্তর মধ্যপ্রাচ্যের জন্য প্রস্তুতি ( Preparing for a Post-Israel Middle East )
এদিকে ২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বরে ইসরাইলি সংবাদপত্র ইয়েদিঔত আহারোনৌত পত্রিকায় দেশটির অধ্যাপক গাবি শেফার একটি প্রবন্ধ লেখেন। যার শিরোনাম ছিল ‘We won’t win in Gaza’ তথা ‘আমরা গাজায় কখনো জিততে পারব না’।
ইরানের সংসদ বিবৃতি: ইসরাইলের পতনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে
ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হত্যা-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতিরোধ ফ্রন্ট অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। প্রতিরোধ শক্তিই ইহুদিবাদী ইসরাইল নামের ঘৃণ্য ক্যান্সারকে সরিয়ে ফেলবে।
এতে বলা হয়, ট্রাম্পের কথিত ‘ডিল অব সেঞ্চুরি’, বায়তুল মুকাদ্দাসে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর, সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের ভূখণ্ড হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি এবং ইরানের সামরিক-
বাহিনী আইআরজিসি-কে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণার মতো পদক্ষেপগুলো আমেরিকা ও ইসরাইলের হতাশার নিদর্শন। এসব তৎপরতার মাধ্যমে অবৈধ ইসরাইলকে রক্ষা করা যাবে না।
ইরানের জাতীয় সংসদ বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের ধ্বংস অনিবার্য। পতনের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে। বিশ্ব কুদস দিবসকে সামনে রেখে আজ (রোববার) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংসদ সদস্যরা এ মন্তব্য করেছেন। আগামী ৩১ মে শুক্রবার ইরানসহ বিশ্বব্যাপী কুদস দিবস পালিত হবে।
ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষণা করে ইরানের সংসদ সদস্যরা বলেন, আমরা আশাকরছি অদূর ভবিষ্যতেই আল-আকসা মসজিদ মুক্ত হবে এবং সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে নামাজ পড়তে সক্ষম হবেন।
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর এর প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনি (রহ.) পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব কুদস দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
তথ্য সুত্র: রেডিও তেহরান