এত বড় দায়িত্ব নিতে হবে তা ভাবিনি, চাইওনি: প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর বিদেশে নির্বাসিত অবস্থায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা তুলে ধরতে গিয়ে আবেগ-আপ্লুত কণ্ঠে বলেছেন, পঁচাত্তরের পর এত বড় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে এটা কখনো আমি ভাবিনি, চাইওনি। এটা চিন্তাতেও ছিল না।

শুক্রবার গণভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এই দেশটা যেন আবারও স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের হাতে না যায়। কেউ যেন দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। সেদিকে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।’

টানা তিন মেয়াদসহ চতুর্থ মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং টানা প্রায় চার দশক ধরে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্কুল জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। তারপর কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে তখনো ছাত্রলীগেরই সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতি ছাত্র রাজনীতি থেকেই শুরু। তবে কখনো কোনো বড় পোস্টে ছিলাম না, পোস্ট চাইওনি কখনো। আমরা পদ সৃষ্টি করে এবং সবাইকে পদে বসানো এই দায়িত্বটাই পালন করতাম। যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির একজন সদস্য ছিলাম।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে দেশের জন্য কাজ করার কারণেই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। আর এ কারণেই শুধু দেশে নয় গোটা উপমহাদেশে আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, দেশবিরোধীরা পঁচাত্তরের পর স্বাধীনতার চেতনা ব্যাহত করেছে। যারা স্বাধীনতা ও দেশের চেতনায় বিশ্বাস করে না পচাত্তর পরবর্তী সময়ে তারা ক্ষমতায় থাকার কারণে যে আদর্শ নিয়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছিলো তা বাস্তবায়ন হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা বারবার চেয়েছে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে, তারা সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ কিন্তু আওয়ামী লীগের মতোই ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে। আজকে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এক নম্বর রাজনৈতিক দল। যে দল মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। সেই আস্থা ও বিশ্বাস আমরা দেখতে পেয়েছি এবারের নির্বাচনে। নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে প্রথমবার ভোটার হওয়া তরুণরা সবাই আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে তাদের আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন ব্যক্ত করেছে।’