বরিশালে কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শফিকুল আলমের উপরে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী,জাপানে অধ্যয়ণরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বিএসওজে’র নির্বাহী সদস্য এম.এ মাসুদ।প্রধান শিক্ষককে উপর হামলার ঘটনায় যায় জড়িত তাদেরকে তিনি বর্বর বলে উল্লেখ করেন এবং প্রশ্ন করেন বিদ্যালয়ের বর্তমান/প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বেঁচে আছেন কিনা?তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল:

“কাগাশুরা স্কুলের সাবেক/বর্তমান শিক্ষার্থীরা মারা গেছে নাকি!!একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে এভাবে অপমান করা হচ্ছে অথচ আমরা মৃত্যের মত নির্বাক!একজন শিক্ষক যত গুরুতর অন্যায় করুক না কেন,তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেত।স্কুল চলাকালীন সময়ে একজন শিক্ষকের গাঁয়ে হাত তোলা,রাস্তায় এভাবে অপমান করা কোন সভ্য মানুষের কাজ নয়, কোন সভ্য মানুষ এ ধরনের কাজকে সমর্থন দিতে পারে না।যারা করে এবং যারা মেনে নেয় তারা অসভ্য, তারা বর্বর।এরা ক্ষমতায় কিংবা সংখ্যার যত শক্তিশালীই হোক,এরা সমাজের ডাস্ট।আমি আবার বলছি-এরা আমাদের শিক্ষক,আমাদের বাচ্চাদের মানুষ করবার দায়িত্ব নেন।তার প্রতিদান এমন করে দিতে পারি না,কিছুতেই না।”

উল্লেখ্য গত ২ এপ্রিল সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়টির আইসিটি’র শিক্ষক রেহানা বেগমের নেতৃত্ব কতিপয় যুবক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষক মো:শফিকুল ইসলামকে মারধর করেন।শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন,বিদ্যালয়ের একটি উন্নয়ন প্রকল্পে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রকল্প সভাপতি না করায় সমস্যার সূত্রপাত।এছাড়া রেহানা বেগমের ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দিতেও প্রধান শিক্ষককে চাপ দিচ্ছেন বলে জানা যায়।তবে রেহানা বেগম সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।বিদ্যালয়ের বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ বীরবিক্রম।