শামীম আহমেদ ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ‘পল্লী উন্নয়ন সংস্থা’ নামের ভুয়া এনজিও’র মাধ্যমে এলাকার দুঃস্থদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই কথিত এনজিওর দুই নারী কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ভুক্তভোগী লোকজন। জামানতের টাকা ফেরত পেতে নারী পুুরুষ সদস্যদের উপজেলা সদরে বিক্ষোভ।
ভুক্তভোগী সদস্য ও থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, আগৈলঝাড়া গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে উপজেলার ফুল্লশ্রী এলাকায় এনজিও প্রশিকার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে গত এক মাস পূর্বে ‘পল্লী উন্নয়ন সংস্থা’ (পি.ইউ.এস) নামের একটি ভুয়া এনজিও’র অফিস খুলে বসেন গোপালগঞ্জ জেলার হরিদাসপাড়া ইউনিয়নের ভেড়ারহাট গ্রামের মৃত আলমগীর হোসের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৩) ও একই জেলার আরপাড়া গ্রামের মতিউল হাসানের স্ত্রী মোসাম্মাদ লিবিয়া হাসান (৪৫)। সঞ্চয় আমানতের পাশ বইতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত লেখা ওই ভুয়া এনজিও’র প্রধান কার্যালয় হিসেবে বিবি এভিনিউ, খন্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্স এর ৬ষ্ঠ তলার ৫৮নম্বর রুমের কথা লেখা রয়েছে।
যার রেজিষ্টেশন নম্বর ম/বি/অ-ঢাকা ১৫২/৯৮। প্রশিকা এনজিও কর্মী এনামুল হক শামীম তাদের কাছে অবৈধভাবে ওই কক্ষটি ভাড়া দেয় বলে জানা গেছে। তারা কয়েকজন কর্মীর মাধ্যমে ওই ভুয়া এনজিও’র মাধ্যমে ঋণ প্রদানের কথা বলে উপজেলার বাকাল, গৈলা ও রাজিহার ইউনিয়নের শতাধিক দুঃস্থ নারী-পুরুষের কাছ থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা আদায় করে। আজ রবিবার সকালে ছিল তাদের ঋণ প্রদানের কথা।
এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যার পর উল্লেখিত দুই নারী কর্মী দুঃস্থদের জামানতের টাকা নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ওই ভুয়া এনজিওতে আমানত জমাদানকারীরা বিষয়টি জানতে পেরে সরবাড়ি এলাকার জ্ঞানেন্দ্র নাথ হালদারের বাড়ির সামনে থেকে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ফরিদা ও লিভিয়ার কাছ থেকে ১লাখ ২৪হাজার টাকা উদ্ধার করে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ওই ভুয়া এনজিওতে টাকা দেয়া ক্ষতিগ্রস্থ সদস্য উপজেলার উত্তর শিহিপাশা গ্রামের মৃত এলেম উদ্দিন বালীর ছেলে জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে প্রতারক ফরিদা ও লিবিয়াসহ অজ্ঞাত তিন চার জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন।
রোববার সকালে গ্রেফতারকৃত ফরিদা ও লিবিয়াকে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এদিকে ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ সদস্যরা তাদের জামানতের টাকা ফেরত পাবার আশায় শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ করেছে।