কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমার প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ার পর গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সংবাদ সংম্মেলন করে সালমা জানান, তার বর সানাউল্লাহ নূর সাগর বর্তমানে লন্ডনে ‘বার অ্যাট ল’ পড়ছেন। বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে।
তবে বিয়ের তিন মাস পার না হতেই সালমার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি নাকি আগেও করেছিলেন। সালমা নাকি তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩ জুন বিয়ে করেন সাগর। তার প্রথম স্ত্রী কক্সবাজারের মেয়ে। সালমার সঙ্গে সাগরের বিয়ের খবর প্রকাশের আগেই কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রথম স্ত্রীর মা বাদী হয়ে সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর ২৫৪। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১ (গ), ১১ (গ)/৩০ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, লন্ডন যাওয়ার পর থেকেই সাগর তার স্ত্রীর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করতেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ নভেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করা হয়। মামলায় সানাউল্লাহ নূর ও তার বাবা-মাকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম মাহমুদুর রহমান।
মামলার বিবরণীতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিয়ের পর থেকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন সাগর। শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। মেয়ের কথা চিন্তা করে সাগরকে তিন কিস্তিতে ১০ লাখ দেয় তার পরিবার। সেই টাকায় সাগর যুক্তরাজ্যে ‘বার অ্যাট ল’ পড়তে যান।
এ বিষয়ে সালমা বলেন, ‘সাগর সম্পর্কে জেনেশুনেই বিয়ে করেছি। তার আগে কী ছিল, আর না ছিল এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন শুনতে চাই না।’
সালমা আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর আগের স্ত্রী ছিল এটা আমি জানি। সেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে, সেটা জানার পরই আমি বিয়ে করেছি। আর এটাও জানা দরকার যে আমিও আইনে পড়াশুনা করছি। না জেনে কিছু করিনি। এখন আমি একজন শিল্পী বলে অনেকেই ইমেজ নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে এই কুৎসা রটাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সঙ্গীত অঙ্গনে পা রাখেন সালমা। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সালমা ও শিবলী সাদিক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্নেহা নামে তাদের ঘরে সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।