জ্বলন্ত স্কুলবাস থেকে ৫১ শিশুকে উদ্ধার করেছে ইতালীয় পুলিশ। স্কুলে যাওয়ার সময় চালক তাদের জিম্মি করে গাড়িটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এরই মধ্যে মাথা সিটের নীচে লুকিয়ে পুলিশের জরুরি নাম্বারে ফোন দিতে সক্ষম হয় বাসের ভেতরে থাকা একটি শিশু। এএফপি।
শিশুরা এএফপিকে জানায়, চালক নির্ধারিত রাস্তায় না চালিয়ে অন্য একটি রাস্তায় বাসটি নিয়ে যায় এবং ছিনতাইয়ের ঘোষণা দেয়। ভয় দেখিয়ে শিশুদের টেলিফোন কেড়ে নেয় এবং তাদেরকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বেঁধে রাখতে বড়দেরকে নির্দেশ দেয়। দুটি পেট্রোল ভর্তি পাত্র ও একটি সিগারেট ধরার লাইটার নিয়ে এই অভিযানে নেমেছিলো সে।
পুলিশ জানায়, একটি শিশু সাহায্যের জন্য পুলিশে কল করলে দ্রুত পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। কয়েকজন শিক্ষার্থী ধোঁয়ায় আহত হলেও কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
মিলানের প্রসিকিউটর ফ্রান্সিসকো গ্রেসো বলেন, ‘এটা একটা অলৌকিক ঘটনা। ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ হতে পারত। পুলিশ কর্মকর্তারা দারুণ কাজ করেছেন। তারা বাসটিকে আটকে দিয়ে বাচ্চাদের উদ্ধার করেছেন।’
বাস চালক সেনেগাল বংশোদ্ভূত ৪৭ বছর বয়সী ওউসেইনোউ সি। মিলানের পাবলিক প্রসেকিউটরের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিটের প্রধান আলবার্তো নোবিলি বলেন, ‘সি চাইছিলো পুরো বিশ্ব তার সম্পর্কে আলোচনা করুক। সে বিশ্ববাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চেয়েছে।’
চালক শিশুদের বলে, আফ্রিকায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ইতালির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডি মাইও ও সালভিনিই এর জন্য দায়ী।
উল্লেখ্য, জুন মাসে গড়া লুইগি ডি মাইয়ো এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাটিও সালভিনির জোট সরকার শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা ভূমধ্যসাগরে বিপদে পড়া শরণার্থীদের উদ্ধারের জন্য ইতালির বন্দরগুলো থেকে জাহাজ পাঠানো বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করছেন।