রাসূল (সা.) সমগ্র মানব জাতির জন্য আদর্শ। তিনি যেমন নবী, রাসূল ও সেনাপতি, রাষ্ট্রপতি ছিলেন, অন্যদিকে তিনি তার স্ত্রীদের কাছে সবচেয়ে উত্তম স্বামী ছিলেন। একজন স্বামী হিসেবে আপনি রাসূল (সা.) কে যদি আপনার আদর্শ বানাতে পারেন, তবে পৃথিবীর সব স্ত্রীরাই সুখী হবেন।
আপনার স্ত্রী একজন উত্তম স্বামী হিসেবে আপনাকে নিয়ে সবার কাছে গর্ব করবে আল্লাহতায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করবে। আপনার উত্তম আচরণ দেখে আপনার স্ত্রী আপনাকে উত্তম স্বামীর সনদ দেবে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরাও তাদের পোশাক। (সূরা বাকারা ১৮৭ নং আয়াত)। একজন পুরুষের জীবনে আশা থাকে, ভালো একজন স্ত্রী পাওয়া। একটি মেয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় চাওয়া ও পাওয়া একজন উত্তম স্বামী। একজন উত্তম স্বামীই পারে তার স্ত্রীর জীবন পরিপূর্ণ করতে। স্বামীর বাড়ির লোকজন যতই নিষ্ঠুর হোক, যতই খারাপ হোক, স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বুঝতে পারে, তবে তাদের সংসার জীবন সুখে ভরপুর হয়ে যাবে। সেখানে পাওয়া যাবে জান্নাতের সন্ধান।
একজন ভালো স্বামীর চরিত্র হবে এমন- আপনি বাইরের কাজ করে এসে দেখলেন, আপনার স্ত্রীর রান্না বা অন্যান্য কাজে বিলম্ব হচ্ছে, তখন আপনি রাগ না করে তাকে সহযোগিতা করুন। দেখবেন স্ত্রী আপনাকে কত পছন্দ ও সম্মান করে।
স্ত্রীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করে এমন বিষয়ে কথা না বলা, স্ত্রীকে কথায় কথায় ধমক না দেয়া, রাগ না করা, শুধু শুধু স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ না করা, স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস থাকা, নামাজ পড়া ও স্ত্রীকে দ্বীনের আহকাম মেনে চলার জন্য উৎসাহ দেয়া। মাঝে মাঝে স্ত্রীকে আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেয়া। এসবই একজন ভালো স্বামীর দায়িত্ব। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের হক বুঝে জীবনযাপন করে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন।
লেখক : প্রাবন্ধিক