রাজধানী ঢাকা ও বরিশালসহ দেশের আট বিভাগীয় শহরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ক্যান্সার হাসপাতাল করবে সরকার। এ হাসপাতাল নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তাও কামনা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আলমেহিরি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী এ সহায়তা চান।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে ক্যান্সার ও কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই রোগগুলোর চিকিৎসাও অত্যাধিক ব্যয়বহুল। কিন্তু সীমাবদ্ধ সম্পদের দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়মূল্যে ক্যান্সার ও কিডনি রোগের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা দুরূহ। রাজধানীতে এজন্য দুটি পৃথক সরকারি হাসপাতাল থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
তিনি বলেন, বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের চাহিদা মেটাতে এগুলোর সুবিধা খুবই অপ্রতুল। বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে ক্যান্সার ও কিডনি রোগের চিকিৎসায় হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, সে অনুযায়ী দেশের আট বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে কিডনি ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এই উদ্যোগে আরব আমিরাত সরকারের সহায়তা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের প্রান্তিক ও তৃণমূল জনসাধারণ ব্যাপক উপকৃত হবে।
এসময় রাষ্ট্রদূত আরব আমিরাতের নূর দুবাই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চোখের রেটিনা ও গ্লুকোমা চিকিৎসা সুবিধা সংযোজনের পরিকল্পনা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে জাহিদ মালেক বলেন, আরব আমিরাতে শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশায় বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ করছে। তাদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ সে দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারছে বলে বাংলাদেশ গর্বিত।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরো অধিক সংখ্যক মানব সম্পদ যেন সেদেশে যেতে পারে সে লক্ষে সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, আরব আমিরাতের নূর দুবাই ফাউন্ডেশনের সিইও ডা. মানাল তারিমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।”