 
                                            
                                                                                            
                                        
ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িসহ বিভিন্ন উপজেলার নিহত ১১ জনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজন হারানোর বেদনায় আহাজারি করছেন পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ও শুক্রবার সকাল থেকে স্ব স্ব এলাকার নিহতদের কয়েকজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্বজন ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার নিহতদের মধ্যে মোট ১১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সোনাইমুড়ির নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির সাহেব আলীর দুই ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) ও মাহাবুবুর রহমান রাজু (২৮), পশ্চিম নাটেশ্বর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেন (৬৫), নাটেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মির্জানগর গ্রামের আবদুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (৩৮), মমিন উল্যার ছেলে সাহাদাত হোসেন হিরা (৩২), মৃত গাউছ আলমের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩২) ও পার্শ্ববর্তী বারোগা ইউনিয়নের দৈলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার, মধ্য নাটেশ্বর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক উল্যাহ, বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের কামাল হোসেন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী গ্রামের জসিম উদ্দিন।
নিহতদের মধ্যে সকাল ৮টায় পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের হেলাল উদ্দিন, ৯টায় ঘোষকামতা গ্রামের মাসুদ রানা ও মাহাবুবুর রহমান রাজুর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় বেগমগঞ্জের মুজাহিদপুরে কামাল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের জসিম উদ্দিন ও ৩টার দিকে পশ্চিম নাটেরশ্বর গ্রামের মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেনেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অম্বরনগর গ্রামের উত্তর ওয়াসেকপুর গ্রামে দাফন হয়েছে নুরু মিয়ার ছেলে আবদুর রজিম দুলা মিয়ার মরদেহ। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে বাকিদের জানাজা সম্পন্ন হবে।
তবে মরদেহ শনাক্ত করতে না পারায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি মির্জানগরে এখনো এসে পৌঁছায়নি।
নিহতদের স্বজনরা জানান, ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর অনেকের নিহত হওয়ার খবরে স্বজন ও এলাকাবাসী নিহতদের বাড়িতে ভিড় করলেও আসেননি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কেউ। গণমাধ্যম কর্মীরাও কোনো তথ্য পায়নি প্রশাসনের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন মো. শাহবুল্লাহর দুই ছেলে মাসুদ রানা (৩৫) ও মাহবুর রহমান রাজু (২৮)। ভাগ্যক্রমে নিজে বেঁচে গেলেও সন্তান হারানোর শোকে পাগলপ্রায় মো. শাহবুল্লাহ। নিহত মাসুদ রানার ছোট্ট একটি ছেলে সন্তান আছে আর মাহবুর রহমান রাজুর বিয়ে হয়েছে মাত্র ২৬ দিন আগে।