‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ কথাটা আজ যেন মিথ্যা শোনায়। কারণ এখন বাঙালিদের পাতে মাছ যতটুকু জুটছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জমা হচ্ছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ফর্মালিন। মাছকে দীর্ঘ দিন টাটকা রাখতে যথেচ্ছ পরিমাণে মেশানো হচ্ছে ফর্মালিন। সাধারণ রুই-কাতলা থেকে চালানি চিংড়ি সবেতেই মিশছে এই রাসায়নিক। আর এর হাত ধরেই শরীরে প্রবেশ করছে মারাত্মক বিষ।
বাজার থেকে কিনে আনছেন টাটকা মাছ, কিন্তু তা খেয়েও অসুস্থ হচ্ছে শরীর! এমনটা কি প্রায়ই হয়? তা হলে বুঝবেন আপনার কিনে আনা মাছ আদতে যতটা টাটকা দেখায়, আসলে তা নয়। এই বিষাক্ত রাসায়নিক শরীরকে প্রতিদিন বিষাক্ত করছে৷ চিকিৎসকরা সাবধান করছেন, এই রাসায়নিকের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে আমাদের দেহে৷
‘তবে ভয় পাবেন না, ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ব্যবহার রুখতে না পারলেও, কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলেই এই ফর্মালিনের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।’ এক একটি মাছে যে পরিমাণ ফর্মালিন মেশানো হয় তাতে এক দিনেই হয়তো অনেকটা ক্ষতি হয় না, কিন্তু দিনের পর দিন ওই মাছ খেতে খেতে বিপদ আসতে বাধ্য। তাই দেখে নিন কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে সরিয়ে ফেলবেন তা।
মাছ কিনে এনে খুব ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন সেই মাছ। এর পর প্রায় এক ঘণ্টা তাকে ভিজিয়ে রাখুন সেই পানিতেই। ঠাণ্ডা পানির প্রভাবে মাছের শরীরের ফর্মালিন কিছুটা বেরিয়ে যায়।
এর পর লবণ পানি তৈরি করে তাতে কিছু ক্ষণের জন্য ভিজিয়ে রাখুন মাছ। লবণ মাছের শরীরের ক্ষতিকর রাসায়নিককে সহজেই বার করে আনে।
এই দুই প্রক্রিয়া অবলম্বন করলেই ফর্মালিন অনেকটাই সরে যায়। তবে আরও ভালো ফল পেতে প্রথমেই চাল ধোয়া পানি দিয়ে ধুয়ে নিন মাছ। তার পর সাধারণ পানি দিয়ে ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। এতে সহজেই ফর্মালিন সরে যাবে।