শামীম আহমেদ॥ বিয়ের নামে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া নেশায় পরিনত হয়েছে বরিশাল সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদ এলাকার সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুর। ৬ বার স্বামী পাল্টানো মিতু ওরফে কহিনুর শুধু বিয়ে নাটকই নয় এখন অসামাজিক কর্মকান্ডের ডকুন্টোরী তৈরি করে অর্থহাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগে জানিয়েছে প্রতারনার শিকার হওয়া মানুষ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে করা সায়েস্তাবাদের দক্ষিন চরআইচা গ্রামের অর্ধশতাধিক মানুষের স্বাক্ষরিত অভিযোগে যানা গেছে, ওই গ্রামের ফজলু সিকদারের কন্যা সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুর স্কুল পড়–য়া অবস্থায় প্রথম বিবাহ হয় একই গ্রামের ভুলু শরিফের ছেলে মন্টু শরিফের সাথে। স্বামীর সংসার করার সময়ই নোয়াখালীর ফেনির সাইফুল ইসলাম বাকের এর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধহয়। সেখান থেকে অর্থ হাতিয়ে পুনরায় একই এলাকার ভাগ্নি জামাই আনোয়ার হোসেন রিপনকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে। রিপনের সাথে বিয়ে হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় স্বরুপকাঠির মো.আমিনুল মাষ্টারকে ট্রাপে ফেলে একই কায়দায় বিয়ে করে। এসব বিয়ের কোন রেজিষ্ট্রি কাবিন না থাকলেও নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ভূয়া কাবিন বানিয়ে এসকল বিয়ে করেন সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুর। অভিযোগে জানান, কহিনুর এসকল বিয়ের বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লাখ টাকা। মুলত তার নেশা ও পেশা হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ ও ইয়াবা ব্যবসা।
তিন নম্বর স্বামী আপন ভাগ্নি জামাই আনোয়ার হোসেন রিপন জানান, ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারী খালা শাশুরী সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুর তার মোবাইল থেকে তাকে ফোন করে বলেন যে তিনি বিপদে আছেন বাসায় গিয়ে যেন তার সাথে দেখা করি। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে দরজায় নকরার পর খালা শাশুরী মিতু ওরফে কহিনুর দরজা খুলে বিবশ্র অবস্থায় আমাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার চেচামেচি করে। এসময় তার আগে থেকে প্রস্তত রাখা লোকজন আমাকে আটকে রাখে এবং সকালে বরিশাল নগরীর এক আইনজীবীর চেম্বারে নিয়ে ছবি তুলে স্টাম্পে স্বাক্ষর রাখে আর বলে বিয়ে হয়ে গেছে। এর কয়েকদিন পরই সে রিপনের কাছে টাকা দাবী করে। টাকাদিতে রাজি না হলে নানা ভাবে হয়রানী করতে থাকে। এক পর্য়ায়ে মিতু ওরফে কহিনুর বরিশাল চিফজুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে রিপনের বিরুদ্ধে শ্লীলতা হানির অভিযোগ করে মামলা দায়ের করে।
মিতু ওরফে কহিনুর এর প্রতারনার শিকার হয়ে ভিটে মাটি হারিয়ে এখন এলাকা ছাড়া হয়েছেন বলে দাবী করেছেন মামুন হাওলাদার। তিনি বলেন, প্রেমের অভিনয় করে আমাকে ওর জালে জড়িয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই টাকা দিতে গিয়ে আজ মামুনকে ভিটে মাটি বিক্রিকরে ঢাকায় বসবাস করছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুর হোটেল প্যারাডাইসসহ একাধিক হোটেল থেকে বেশ কয়েকবার অসামাজিক কর্মকান্ড করার সময় পুলিশ আটক করেছে।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুর এর (০১৭৬৪……) এই নম্বরে বারবার কল করলেও সে রিসিভ করেনি।