সরকারি অনুদান ছাড়াই সাহসী পদক্ষেপে’র সফলতায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে বিসিসি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ্

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago
সাদিক আব্দুল্লাহ

এম.এস.আই লিমনঃ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে সরকারি কোন আর্থিক অনুদান -থোক বরাদ্দ ছাড়াই সাহসী পদক্ষেপ গুলোর সব কটিতেই সফলতার পথে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

পদ প্রাপ্তির শত দিন পূর্ন হবার আগেই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নতুন এ মেয়র একেরপর এক জনকল্যান এবং জন উন্নয়ন মূলক কাজে ইতিমধ্যে সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। নগরউন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপ হিসেবে ভঙ্গুর রাস্তার মেরামত, রাত্রী কালিন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পূর্ণ করা, সহ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকা সিটি কর্পোরেশনের সকল স্থায়ী অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন আনুতোষিক ভাতা পরিশোধ করে।

তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কিয়দংশ কার্যক্রম বাস্তবায়নের নমুনা প্রদর্শন করেছেন।জানাগেছে, নগরপিতা হবার পর প্রথম সভাতেই তিনি যে সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গিকার মৌখিক ভাবে ব্যাক্ত করেছিলেন, সমসাময়িক উন্নয়ন ও কার্যক্রম তারই অংশ বিশেষ।

অদূর ভবিষ্যৎতে স্মরণ কালের ব্যপক উন্নয়ন কর্মসূচী এবং নগরকে ঢেলে সাজানোর মহা পরিকল্পনা বিশেষকরে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সময় প্রস্তাবিত মাষ্টার প্লানে যে সকল কর্মসূচি বা উন্নয়নের প্রস্তাব আকারে রাখা হয়েছিল।

সেগুলোতো বটেই তার সাথে সংযুক্তি মূলক আরো তিন গুল অতিরিক্ত কর্মকান্ড বাস্তবায়নের লক্ষ নিয়ে মেয়র সাদিক সামনে এগোচ্ছে বলেও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।এসকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে,তফসিল ভূক্ত সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন তালতলী ব্রীজের পূর্ব প্বাশ্বে ৭৪ নং জেল এল,চড়আইচা মৌজার তফসিলভূক্ত ২৮.৩৪ একর সরকারি খাস জমিতে আধুনিক বযবস্থাপনা অত্যাধুনিক বর্জ্য পরিশোধনাগার গড়ে তোলা হবে।

গত ২০০২ সালে একোয়ার করা ৬ একর ময়লা খোলা জমি বর্তমানে কাউনিয়া বিসিক আবাসিক এলাকায় ক্রমান্বয়ে বর্ধিত হবার কারনে কোন অবস্থায় ঐ স্থানে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। পাশাপাশি দিনকেদিন নগর বাসীর বাসস্থানের জন্য স্থান সংকুলান করা দূঃস্বাধ্য হয়ে উঠেছে।

ফলে নতুন মেয়র ক্ষমতা হাতে পাবার পরেই এই বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তাবনা আনুষ্ঠানিক ভাবে লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য দপ্তরে অবহিত করেছেন। এবং সেমতে এবিষয়ে অনানুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলেও একটি সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে বিসিসি’র সম্প্রত্তি শাখার এ্যাস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বর্তমান নগরীর ৬ নং ওয়ার্ডের বিসিসি’র একোয়ার করা ময়লাখোলা পুরান পারায় ৬ একর জমিটি বর্জ্য ফেলার অনুপুযুগি।মেয়র হবার পূ্র্বেই ঐ এলাকাটি জনগনের আবাসস্থল গড়ে ওঠায় ওখানকার বাসিন্দাদের এ থেকে মূক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

তারই ধারাবাহিকতায় অফিসিয়াল ভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে লিখিত প্রস্তাবনা করা হয়েছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক ও ভূমি অফিস নগর উন্নয়নে বিসিসি’র সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করলে এই জনহিতকর কাজ খুব শ্রীঘ্রই নগরবাসী এর সুফল ভোগ করতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন।

অপরদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করে বর্তমান মেয়রই সাবেক এবং বর্তমান মিলিয়ে ঝুলে থাকা সকল শাখার বকেয়া বেতন ভাতাদি পরিশোধ করে বর্তমানে সিটি কর্পোরেশন কে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় পর্যবসিত করেছে। এবিষয়ে বিসিসি’র বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে একান্ত আলাপে দলমত নির্বিশেষে সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করে। এবং ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে মেয়রের প্রতি তাদের আস্থা রয়েছে।ইতোমধ্যেই স্থায়ী ৫৭৮ জন সরকারকে পে স্কেলের অন্তভূক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৫ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।

স্থায়ীদের প্রতি মাসে ১ কোটি ২৫ লাখ করে ৫ মাসের বেতন বাবদ ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।অস্থায়ী ১৪শ ৮০ জন কর্মচারী দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এদের প্রতি মাসের মজুরী ৯৬ লক্ষ টাকা এবং তিন মাসের মজুরী বাবদ ২কোটি৮৮ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে।

এছাড়া অস্থায়ী শ্রমিকদের বকেয়া আরো দুই মাসের বেতন প্রদান করা হবে চলতি সপ্তাহে বলেও বিসিসি’র নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো নিশ্চিত করে। এছাড়াও বরিশাল নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সংস্করণ করা হয়েছে ব্যাপক আকারে। পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা ফুটপাত দখল মুক্ত করার ধারাবাহিক পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানো সমান তালে।এতেকরে ইতিমধ্যেই নগরবাসীদের কাছে ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে মেয়র৷

অর্থ বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিগত সময়ের উন্নয়ন মূলক দরপত্রের কাজ গুলোর মধ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়ক মেরামতের কাজ সম্পন্ন করার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থী বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ জনরায়ে নির্বাচিত হওয়ার পরে ২২ অক্টোবর শপথ গ্রহন করার পরে ২৩ অক্টোবরে বিসিসি’র চতুর্থ পরিষদে মেয়রের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহন করে।

দায়িত্ব গ্রহণের পরে মোট ১০৫ দিনের মধ্যে সরকারি ছুটি ছিল ৩১ দিন। বাকী ৭৬ কার্য দিবসের মধ্যে যেকটি সাহসী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার প্রতিটিতে তিনি সফল হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে কোন ধরনের আর্থিক অনুদান এবং বরাদ্দ না পেলেও কেবল মাত্র বিসিসি’র আভ্যন্তরীন অর্থ দিয়ে যে পরিমান কাজ সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সারা দেশের মধ্যে মডেল হিসেবে আক্ষায়িত হওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।

নগরীর উন্নয়ের ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে সকল গুরুত্বপূর্ণ আট সিসি রাস্তা নির্মান ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা’র উন্নতির জন্য ১২ শত কোটি টাকার একটি প্রকল্প,৪৬ টি খাল খনন,ওয়াকওয়ে নির্মান, স্টিট লাইট,পাড় সংরক্ষণের জন্য আরো ১৪ শ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদনের মন্ত্রণালয়ে পেশ করা হয়েছে।

এছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ৫২ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। থোক বরাদ্দের টাকা পেলে নগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মান করা হবে যার ৪/৫ বছর গ্যারান্টি দিয়ে টেকশই করা হবে বলেও জানায়,বিসিসি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আনিসুজ্জামান।

বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল বাশার জানায়, সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের পূর্বের সকল বেতন ভাতা প্রদান করা হয়েছে। অস্থায়ী সকল দৈনিক মজুরী ভিত্তিক শ্রমিকদের ব্যাংকে হিসাব নং খুলে বেতন প্রদান করা হয়েছে।বরিশাল সিটি কর্পোরেশন(বিসিসি’র)মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আর্থ টাইমস্২৪  জানায়, টেকশই নগর উন্নয়ন ও নগরবাসীদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করনে তিনি যেকোন পদক্ষেপ নিবেন। সকল কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ শ্রমিকদের প্রতি মাসের বেতন সময়মত পরিশোধ করার সুফল সরুপ তাদের নগরসেবার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরে আসতে শুরু করেছে। টেকশই নগর উন্নয়নের মধ্য দিয়ে নাগরীকদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করে মডেল সিটি কর্পোরেশন হিসেবে বরিশালকে শীর্ষক স্থানে নিবেন।

ছবি সংগ্রহঃ জাকারিয়া আলম দিপু।