শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব কোচিং সেন্টার একমাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা বস্তবায়নের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় বরিশালে। আজ ৩১ জানুয়ারি দুপুর ২ টায় বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল।
২৭ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা বস্তবায়ন শুরু হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে কয়েকটি কোচিং সেন্টার বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রেখে ভিতরে পাঠদান চালায় কোচিং মালিক। তাদের এই কৌশল ধরে ফেলেন ভ্রাম্যমান আদালত। কয়েকটি কোচিং সেন্টার খোলা পাওয়া গেলেও তা তাৎক্ষণিক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোড, বিএম কলেজ রোড, বৈদ্যপাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়, অভিযানে বেশিরভাগ কোচিং সেন্টারকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেলেও ৫ টি কোচিং সেন্টারের কোচিং কার্যক্রম চালু পায় ভ্রাম্যমান আদালত। পরে গোড়াচাঁদ দাস রোড এলাকায় ইডেন গার্লস একাডেমীর, মোঃ তানজিল খান, বিএম কলেজ রোড এলাকার সাইফুরস কোচিং, হারুন অর রশিদ, বৈদ্যপাড়া এলাকার নলেজ একাডেমী, মাহফুজুর রহমান, অনির্বান কোচিং, অঞ্জন বনিক, বিসিএস একাডেমীর, মোঃ মিন্টু কে সরকারি নির্দেশ অমান্য করার দায়ে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে ১০০০ টাকা করে মোট ৫০০০ টাকা অর্থ জরিমানা করা হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী কোচিং মালিক এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা মূলক কথা বলেন। এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দ্বায়ীত্বে ছিল বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের