পদ্মাসেতু হয়ে গেলে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্ব বেড়ে যাবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আকস্মিক বাবুগঞ্জ উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত সুগন্ধা নদীর উপর নির্মীত বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর(দোয়ারিকা) সেতু ও ততসংলগ্ন এলাকা, মোশারফ রাশিদা একাডেমী পরিদর্শন করে গেলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল(অবঃ) জাহিদ ফারুক। শুধু বাবুগঞ্জ নয় বৃহত্তর বরিশালের যে সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, হাট বাজার ও ঘনবসতি এলাকা ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা এবং নদীর নাব্যতা সংকট নিরশনের পরিকল্পনায় মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সে লক্ষে সরেজমিন ঘুরে বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করেন তিনি।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল ১০ টায় বাবুগঞ্জে ভাঙ্গন পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী বলেন, ভাঙ্গনের কবল থেকে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু ও বিমান বন্দরকে রক্ষা করতে হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী বাবুগঞ্জের সুগন্ধা নদীর উপর ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সন্ধ্যা নদীর উপর মেজর এম এ জলিল সেতু দুটি অতিগুরুত্বপূর্ণ। দুটি সেতুর মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুটি নদী ভাঙ্গন ঝুঁকির কবলে। এ ছাড়াও একই উপজেলায় অবস্থিত একমাত্র আকাশ পথে যোগাযোগের মাধ্যম বরিশাল বিমান বন্দর যা অনেকটাই ঝুঁকির কবলে। বিমান বন্দর রানওয়ের উত্তর প্রান্ত থেকে সুগন্ধানদীর ভাঙ্গন অতি নিকটে এসে পৌঁছেছে । যে কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বরিশাল বিমান বন্দরটিও। তাই অচিরেই যদি ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তবে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থাপনাগুলি অচিরেই নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

তিনি বলেন নদী ভাঙ্গন প্রকৃতির নিয়মে হচ্ছে, তবে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীত আমাদের বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে যা রক্ষা করতে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। তখন আমাদের অঞ্চল পরিণত হবে বৃহত্তর শিল্প এলাকা হিসেবে। তাই নির্মীত ও নির্মাণাধীন সকল সেতুগুলোই আমাদের সড়ক যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এসময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপস্থিত কর্মকর্তাকে গত জুলাই ২০১৮ সনে দোয়ারিকা সেতুর উত্তর পার্শে ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাঁধ রক্ষা প্রকল্পের থেমে থাকা কাজ আগামী ২৯ জানুয়ারী তারিখের মধ্যে শুরু করার নির্দেশ দেন এবং পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে সেতু এলাকার প্রবাহমান পানির গতিপথ পরিবর্তন ও ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প তৈরী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

তবে পানিউন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছেন, ওই প্রকল্পের অনুমোদনের লক্ষে বরাদ্দ চেয়ে ইতিপূর্বে একনেকে সকল তথ্য সম্বলিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করা হয়েছে যা শুধু অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি তালুকদার মোঃ ইউনুস, সড়ক ও জনপদ এবং পানিউন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ, সৈয়দ রশিদা-মোশারফ একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম রেজা প্রমুখ।

দায়িত্ব পেয়েই পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এহেন পদক্ষেপ ও কর্মকান্ডের ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন বাবুগঞ্জের নদী ভাঙন কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষ।