৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের প্রবণতা আত্মঘাতী

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘কেউ কেউ তুচ্ছ কারণে ৫৭ ধারা প্রয়োগ করছেন। ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। এই প্রবণতা আত্মঘাতী।’

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি ৫৭ ধারায় দায়ের করা দুটি মামলা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে দেশজুড়ে। এর মধ্যে একটি দায়ের করা হয় খুলনায় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তিনি ফেসবুকে মরা ছাগলের খবর শেয়ার দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে ফেসবুকে ধর্ষণের ভুয়া তথ্য দিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়।

শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শেখ কামাল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একেকজন ক্ষমতায় গেলে হয়ে ওঠেন বিকল্প ‘পাওয়ার সেন্টার।’ কিন্তু শেখ কামাল তেমন মানুষ ছিলেন না। তার কোনো হাওয়া ভবন ছিল না। শেখ কামালের মধ্যে যেসব গুণাবলি ছিল তা তার সমসাময়িককালের কারও মধ্যে আমি দেখিনি।

সতীর্থ-স্বজন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, শেখ কামাল পরবর্তী নির্বাচনের জন্য কাজ করেননি তিনি কাজ করেছিলেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল প্রসঙ্গে বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ সুপ্রিম কোর্টের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল হওয়ায় মহাখুশি। এরা এভাবেই খুশি হয়।

ওবায়দুর কাদের আরও বলেন, ‘ভারতে নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় এলেন তখন সকাল বেলা, ফলাফলের আগেই ভারতীয় দূতাবাসে ফুল দিয়েছিল। আমেরিকায় রেজাল্ট বের হওয়ার আগে বাংলাদেশে সব ফুলের দোকানে ফুল বিক্রি হয়ে যায়, মিষ্টির দোকানে মিষ্টি বিক্রি হয়ে যায়, হিলারি ক্লিনটন আসবেন বলে, ক্ষমতায় বসাবেন বলে। তারা মনে করেছিল হিলারি ক্ষমতায় এসে তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণ ছাড়া কাউকে কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারে না।’

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ তুচ্ছ কারণে ৫৭ ধারা প্রয়োগ করে। ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। এই প্রবণতা আত্মঘাতী।

সাংবাদিক আবেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পীয্যূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।