বরিশালে কোচিং সেন্টারের নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। শুক্র ও শনিবার শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কোচিং বন্ধ রাখার কথা বলা হয়।২৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নগরীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার মালিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান এই ইঙ্গিত দেন।
ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া কোচিং ব্যবসা করা যাবে না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের ট্রেডলাইসেন্স অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাপ ব্যতীত কোচিং সেন্টারের কোনো ধরনের ব্যানার, পোস্টার সাঁটানো যাবে না।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নগরীসহ গোটা জেলায় প্রতি শুক্রবার কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সরকারি এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত হতে পারবেন না। শিক্ষকরা বাসা ভাড়া করে প্রাইভেট পড়াতেও পারবেন না। স্কুল চলাকালীন কোচিং এ ছাত্র-ছাত্রীরা থাকতে পারবেনা। সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্সের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাপে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ব্যানার, পোস্টার সাঁটাতে হবে।
মিথ্যা প্রচার করে শিক্ষার্থীদের প্রলোভনে ফেলা যাবে না। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ফি নেয়া যাবে না এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, কোচিং সেন্টারের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না।
তাই এগুলোকে নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানান তিনি। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইকবাল আক্তার বলেন, কোচিং সেন্টার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এটি নিবন্ধিত হতে হবে। অন্যথায় পরিচালনা করা যাবে না।