অনলাইন ডেস্ক: বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কমপক্ষে ৮১ আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে ২৬, খুলনা বিভাগে ২৩, বরিশাল বিভাগে ১২ এবং রংপুর বিভাগের ২০টি আসন রয়েছে। কৌশলগত কারণে এই চার বিভাগের কমপক্ষে ৪৮টি আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়নি। এ আসনগুলোর মধ্যে ৩২টি ১৪ দলভুক্ত অন্য রাজনৈতিক দল ও মহাজোটের জন্য রাখা হয়েছে।
শুক্রবার ও গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে আলোচিত চার বিভাগের আওতাধীন ৩২ জেলায় দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত দু’দিনের এই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, রশিদুল আলম, ড. আবদুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও রমেশ চন্দ্র সেন। সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক আজ রোববারও অনুষ্ঠিত হবে।
সংসদীয় বোর্ডের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন তারকা নেতা এই চার বিভাগে দলের মনোনয়নের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বর্তমান এমপিদের মধ্যেও বাদ পড়েছেন কেউ কেউ। আবার কয়েকজন নতুন মুখও রয়েছেন তালিকায়। আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনশ’ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার প্রস্তুতি রয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
গতকাল পর্যন্ত সংসদীয় বোর্ডের পাঁচটি বৈঠকে অংশ নেওয়া দলের নীতিনির্ধারক পাঁচ শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের কমপক্ষে ৮১ আসনে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হলেও এই চার বিভাগের যেসব আসনে ১৪ দলভুক্ত অন্য রাজনৈতিক দল ও মহাজোটের এমপি রয়েছেন, সেই সব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাখা হয়নি। আবার কয়েকটি আসনের সম্ভাব্য কয়েকজন প্রার্থীর জনপ্রিয়তার অবস্থান সমপর্যায়ে আছে বলে জরিপ রিপোর্টে উঠে এসেছে। ফলে এ সব আসনে দলের প্রার্থী ঠিক করতে গিয়ে এক ধরনের জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ সব আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। আরও খোঁজ নিয়ে সেটা করা হবে।
এদিকে সংসদীয় দলের গতকালের বৈঠকেও স্বচ্ছ কাচের পাত্রে রাখা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের করা বেশ কয়েকটি জরিপ রিপোর্ট নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। ওই সব জরিপের রিপোর্টে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রতিটি আসনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের অবস্থানও তুলে ধরা হয়। এ কারণে সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দল ও মহাজোটের শরিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের সর্বশেষ অবস্থান দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রার্থী তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে সংসদীয় বোর্ডের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিস্তারিত কিছুই বলতে চাননি। তিনি বলেছেন, জনপ্রিয়তার বিচারে দলীয় মনোনয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুতই এই কার্যক্রম শেষ করে ১৪ দলীয় জোট এবং মহাজোটগত প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদীয় বোর্ডের সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ জানিয়েছেন, স্বচ্ছ ইমেজের নেতারাই মনোনয়নের তালিকায় আসছেন। বিতর্কিত কাউকে বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। আর দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পর একদিনের মধ্যেই ১৪ দল ও মহাজোটগত প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হবে।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য এবং সংসদীয় বোর্ডের সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, মূলত বিভিন্ন জরিপ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা এবং যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর এবং সংসদীয় বোর্ডের আরেক সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি আসনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনশ’ আসনের প্রার্থী তালিকা তৈরির পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
বরিশাল বিভাগ : গতকাল বৈঠকের প্রথম ভাগে বরিশাল বিভাগের আওতাধীন ছয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের ১২টি আসনে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যে বরগুনার একটি, পটুয়াখালীতে দুটি, ভোলার তিনটি, বরিশালে তিনটি, ঝালকাঠির দুটি ও পিরোজপুরের একটি আসন রয়েছে। বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও পিরোজপুরে একটি করে মোট পাঁচটি আসনে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি।
বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, বরিশাল-৬ ও পিরোজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ কাউকে প্রার্থী করেনি। এ চারটি আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-১ আসনে জাতীয় পার্টির এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির টিপু সুলতান, বরিশাল-৬ আসনে জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্না ও পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নাম ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের তালিকায় রয়েছে। তারা দশম জাতীয় সংসদের সদস্য।
এ বিভাগে আওয়ামী লীগের এমপিরা হচ্ছেন- বরগুনা-১ আসনে অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ আসনে শওকত হাচানুর রহমান রিমন, পটুয়াখালী-২ আসনে আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনে আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, পটুয়াখালী-৪ আসনে মাহবুবুর রহমান তালুকদার, ভোলা-১ আসনে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আসনে আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনে অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস, বরিশাল-৪ আসনে পংকজ দেবনাথ, বরিশাল-৫ আসনে জেবুন্নেছা আফরোজ, ঝালকাঠি-১ আসনে বজলুল হক হারুন, ঝালকাঠি-২ আসনে আমির হোসেন আমু, পিরোজপুর-১ আসনে এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান)। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বাদ পড়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ : শুক্রবারের বৈঠকে রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন আট জেলা জয়পুরহাট, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার ২৬টি আসনে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে জয়পুরহাটের একটি, বগুড়ার দুটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুটি, নওগাঁর পাঁচটি, রাজশাহীর চারটি, নাটোরের তিনটি, সিরাজগঞ্জের পাঁচটি ও পাবনার চারটি আসন রয়েছে। জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় একটি করে মোট সাতটি আসনে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি।
রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনের মধ্যে বগুড়া-২, বগুড়া-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও রাজশাহী-২ আসনে আওয়ামী লীগ কাউকে প্রার্থী করেনি। এ ছয়টি আসনের মধ্যে বগুড়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৪ আসনে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়া-৬ আসনে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর, বগুড়া-৭ আসনে জাতীয় পার্টিরলতাফ আলী, রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশার নাম ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটের তালিকায় রয়েছে। তারা দশম জাতীয় সংসদের সদস্য।
এ বিভাগে আওয়ামী লীগের এমপিরা হচ্ছেন- জয়পুরহাট-১ আসনে শামসুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আসনে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ আসনে আবদুল মান্নান, বগুড়া-৫ আসনে হাবিবুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে গোলাম রাব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আবদুল ওদুদ, নওগাঁ-১ আসনে সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ আসনে শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৪ আসনে ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক, নওগাঁ-৫ আসনে আবদুল মালেক, নওগাঁ-৬ আসনে ইসরাফিল আলম, রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনে আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী-৪ আসনে প্রকৌশলী এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনে আবদুল ওয়াদুদ, রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলম, নাটোর-১ আসনে আবুল কালাম, নাটোর-২ আসনে শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনে অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-৪ আসনে অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ডা. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ম ম গাজী আমজাদ হোসেন মিলন, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আবদুল মজিদ মণ্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে হাসিবুর রহমান স্বপন, পাবনা-১ আসনে অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনে খন্দকার আজিজুল হক আরজু, পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ও পাবনা-৫ আসনে গোলাম ফারুক প্রিন্স। তাদের অনেককেই দলীয় মনোনয়নের জন্য চূড়ান্ত করা হলেও কেউ কেউ বাদ পড়েছেন।
খুলনা বিভাগ : খুলনা বিভাগের আওতাধীন ১০ জেলা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার ২৩টি আসনে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে গত শুক্রবারের বৈঠকে। এর মধ্যে মেহেরপুরে ১টি, কুষ্টিয়ায় ২টি, চুয়াডাঙ্গায় ১টি, ঝিনাইদহে ২টি, যশোরে ৪টি, মাগুরায় দুটি, নড়াইলে ১টি, বাগেরহাটে তিনটি, খুলনায় পাঁচটি ও সাতক্ষীরায় দুটি আসন রয়েছে। মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরায় একটি করে আসন এবং খুলনায় ২টি আসনে মোট ১০টি আসনে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি।
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া-২, নড়াইল-২ এবং সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ কাউকে প্রার্থী করেনি। এই ৩টি আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদের হাসানুল হক ইনু, নড়াইল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান ও সাতক্ষীরা-১ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহর নাম ১৪ দলীয় জোট এবং মহাজোটের তালিকায় রয়েছে। তারা দশম জাতীয় সংসদের সদস্য।
এ বিভাগে আওয়ামী লীগের এমপিরা হচ্ছেন- মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন দোদুল, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মাহবুবউল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আবদুর রউফ, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আলী আজগার টগর, ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-৩ আসনে নবী নেওয়াজ, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজীম আনার, যশোর-১ আসনে শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনে মনিরুল ইসলাম মনির অ্যাডভোকেট, যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনে রণজিত কুমার রায়, যশোর-৬ আসনে ইসমাত আরা সাদেক, মাগুরা-১ আসনে মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আবদুল ওয়াহহাব, মাগুরা-২ আসনে বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ আসনে কবিরুল হক মুক্তি, বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ আসনে ডা. মোজাম্মেল হোসেন, খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-২ আসনে মিজানুর রহমান, খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ আসনে অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ নুরুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-৩ আসনে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক ও সাতক্ষীরা-৪ আসনে এস এম জগলুল হায়দার। তাদের অনেককেই দলীয় মনোনয়নের জন্য চূড়ান্ত করা হলেও কেউ কেউ বাদ পড়েছেন।
রংপুর বিভাগ : গত শুক্রবারের বৈঠকে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধার ৯টি আসনে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারীতে দুটি, লালমনিরহাটে দুটি, রংপুরে তিনটি ও গাইবান্ধার দুটি আসন রয়েছে। নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধায় একটি করে মোট ৪টি আসনে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি।
নীলফামারী-৪, রংপুর-১, রংপুর-৩, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-৩, কুড়িগ্রাম-৪ ও গাইবান্ধা-১ আসনে আওয়ামী লীগ কাউকে প্রার্থী করেনি। এই সাতটি আসনের মধ্যে নীলফামারী-৪ আসনে জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী, রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, কুড়িগ্রাম-১ আসনে জাতীয় পার্টির এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে জাতীয় পার্টির আক্কাস আলী সরকার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপির রুহুল আমিন, গাইবান্ধা-১ আসনে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর নাম ১৪ দলীয় জোট এবং মহাজোটের তালিকায় রয়েছে। তারা দশম জাতীয় সংসদের সদস্য।
নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের এমপিরা হচ্ছেন- নীলফামারী-১ আসনে আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-৩ আসনে অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, লালমনিরহাট-১ আসনে মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনে আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ দুলাল, রংপুর-২ আসনে আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুনশি, রংপুর-৫ আসনে এইচ এন আশিকুর রহমান, রংপুর-৬ আসনে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, গাইবান্ধা-২ আসনে মাহাবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ আসনে ডা. ইউনুস আলী সরকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনে অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। তাদের অনেককেই দলীয় মনোনয়নের জন্য চূড়ান্ত করা হলেও কেউ কেউ বাদ পড়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুরের ১১টি আসনে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
সূত্র: সমকাল