মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিরাজও যে কারণে সেজদা দিলেন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

সেঞ্চুরির পর সেজদা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তা তিনি দিতেই পারেন। কিন্তু সেঞ্চুরি কিংবা ফিফটি না করা মিরাজ কেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে সেজদা দিয়েছেন, সেটিই বিশদ বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে।

৮ বছর পর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। দেশের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি পেয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ শূন্যে লাফ দিলেন। গ্লাভস-হেলমেট খুলে সেজদাও দিলেন। সেঞ্চুরি প্রাপ্তির আনন্দে অনেক ব্যাটসম্যান এভাবে উদ্‌যাপন করে থাকেন। মাহমুদউল্লাহও করেছেন। কিন্তু সবাই অবাক চোখে দেখল, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে দেখে সেজদা দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

অথচ মিরাজের তখন সেঞ্চুরি দূরে থাক, ফিফটিও হয়নি। তবুও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেজদা দিয়েছেন। কেন দিয়েছেন, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন ধরে রান করতে পারছিল না। এই টেস্টে আমাদের অনেক প্রাপ্তি ছিল। মুশফিক ভাই ডাবল সেঞ্চুরি করলেন, মুমিনুল ভাই দেড় শ করলেন। রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) সেঞ্চুরি করেছেন, মিঠুন ভাই ফিফটি করেছেন। আমিও একটা ফিফটি করেছি (প্রথম ইনিংসে)। খুব ভালো লেগেছে যে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছে। ব্যাটসম্যানরা দাপট দেখিয়েছে। এটা দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানরা যদি দাপট দেখায় তাহলে দল ভালো খেলে। এ খুশিতেই আসলে সেজদা দেওয়া। খুব ভালো লাগছে। নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। তাই রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে সেজদা দিয়েছি।’

ব্যাটিং ভালো হলেও মিরাজ একটু পিছিয়ে পড়েছেন বোলিংয়ে। না, বোলিং একেবারে খারাপ হচ্ছে, সেটি নয়। তবে টেস্ট ক্রিকেটে পা রাখার পর উইকেটশিকারি বোলার হিসেবেই তাঁকে দেখা গেছে। স্পিন আক্রমণে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে অন্যতম ভরসা হিসেবে নিজের দায়িত্বটা পালন করেন। এই সিরিজে বোলিংয়ে মিরাজকে কিছুটা ম্লান দেখাচ্ছে তাইজুল ইসলামের কাছে। বাঁহাতি স্পিনার যেখানে টানা তিন ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন, মিরাজের উইকেট সংখ্যা দুই অঙ্কও ছাড়ায়নি।

বোলিংয়ে তাইজুলকে ছাপিয়ে যেতে না পেরে মোটেও চিন্তিত নন মিরাজ। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন, এ প্রশ্নে উত্তরটা দিলেন বেশ রসিয়ে, ‘সব সময় এক-দুজন ভালো করে, দাপট দেখায়। তাইজুল ভাই দারুণ বোলিং করেছেন, প্রথম টেস্ট থেকেই। তিনি ভালো বোলিং করছেন বলেই উইকেটগুলো তাঁর পাওনা। ভালো জায়গায় বোলিং করছেন, উইকেট পাচ্ছেন। আমি তাঁকে সহায়তা করে যাচ্ছি। এখন দুজনই যদি ভালো বোলিং করি তাহলে তো ওরা অল্প রানে আউট হয়ে যাবে! দিন শেষে একজন ভালো করবে, একজন সহায়তা করবে। তবে কাল আমার ও তাইজুল ভাইয়ের ভালো একটা সুযোগ আছে।’