এলিট ফোর্স র্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে
আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর
নিয়মিত অভিযানের ফলে জঙ্গী দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বর্তমান সময়ে
বাংলাদেশের জঙ্গীগোষ্ঠী সমূহ আগের মত শক্তিশালী না থাকলেও গোপনে তারা যেন পূনরায়
সংগঠিত না হতে পারে তার জন্য র্যাব সদা জাগ্রত। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে
র্যাব বরিশাল অঞ্চলে কয়েকজন জঙ্গীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পায় এবং এদের গ্রেফতারে আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহন করতে তৎপরতা শুরু করে।
তারই ধারাবাহিকতায় র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর আভিযানিক দল অভিযান
পরিচালনা করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে বরিশালের কোতয়ালী থানাধীন জিয়া সড়ক
এলাকা হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এর ০১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেঃ
ক। নামঃ মোঃ আতিকুর রহমান@ বাবু @শাওন @সাইফুল্লাহ (২৪), পিতা-মৃত গোলাম
কবির মাতব্বর, সাং-রায়ভোগ মোড়খালী, পোঃ- তালাভাঙ্গা, থানা-বরগুনা সদর, জেলা-বরগুনা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি এর সক্রিয় সদস্য
বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত এর কাছ হতে উগ্রপন্থী বই, অস্ত্র, গুলি, ও বিভিন্ন জিহাদী
লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মোঃ আতিকুর রহমান শাওন আরো জানায়, সে বরগুনা সরকারী কলেজে
পড়াশুনা করে। অল্প বয়সে পিতা মারা যাওযায় সে নিজেই টিউশনি এবং ছাগল পালন করে
সংসারএর খরচ জোগাড় করত। কম্পিউটার দক্ষতা অর্জনের জন্য বরগুনা শহরের হাসান কম্পিউটারে
ভর্তি হয় এবং সেখানেই তার সাথে (১) আব্দুল্লাহ আল মিরাজ(২৪) (২)
আলআমিন@সবুজ(২৬), এর সাথে পরিচয় হয় এবং কাজের ফাকে ফাকে তারা জিহাদ ও
ইসলামিক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
হাসান কম্পিউটারে কম্পিউটার শেখার ফাকে ফাকে বিভিন্ন ওয়াজ এবং অন্যান্য তথ্যাদি মোবাইলে আপলোড করে শোনার অভ্যাস গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে (১)সাকিব@ তারিক, (২) আলআমিন@সবুজ, (৩) নাজমুল@উকিল, (৪) আব্দুল আজিজ@ আব্দুল্লাহ মিরাজের সাথে একত্রে বিভিন্ন সময় বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় গোপনে বৈঠকে মিলিত হয় এবং জেএমবির কার্যক্রম ও প্রশিক্ষন সম্পর্কে অবগত হয়। সে বিভিন্ন
সামরিক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এবং হুজুরের নির্দেশে যে কোন সময়ে যে কোন জায়গায় হামলা
চালাতে প্রস্তুত। সে মাসিক চাঁদা প্রদানের মাধ্যমে দল তৈরীর কাজ করে। সে জেএমবির
কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন জেলায় গমন করে এবং সাথী সংগ্রহের কাজে অংশ নেয়। মূলত
হাসান কম্পিউটার থেকে তার জেএমবির সকল কার্যক্রম শুরু হয়।
গ্রেফতারকৃত (১) আতিকুর রহমান @বাবু @শাওন @সাইফুল্লাহ (২৪), এর নিকট
হতে (১) ০১টি সিলভার রংয়ের বাটযুক্ত কালো রংয়ের বিদেশী পিস্তল, (২) ০২টি খালী ম্যাগাজিন
(৩) ০৬টি পিস্তলের গুলি (৪) ৩৫৫টি বিভিন্ন জিহাদী লিফলেট (৫) বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত
ইসলামী জিহাদী বই (৬) ০২টি জান্নাতের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃত মোঃ আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।তার অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব-৮ তৎপর রয়েছে।