এশিয়ার আকাশে ঘনিয়ে এসেছে বিপদ। সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে যৌথ বিবৃতি দিয়ে এরকমই জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে- এশিয়ার আকাশের ওপর তৈরি হয়েছে এরোসেল স্তর।
কিন্তু কী এই এরোসেল? প্রশ্ন উঠছে। কতটা ক্ষতি করতে পারে এরোসেল, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এই এরোসেলের সঙ্গে পাওয়া গেছে নাইট্রেটের উপস্থিতি।
ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যানবাহন থেকে নির্গত দূষিত গ্যাস, বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার জন্য তৈরি হওয়া গ্যাস, পরিবেশে উৎপাদিত নানা দূষিত গ্যাসের সংমিশ্রণে তৈরি হয় এই স্তর। ট্রপোস্ফিয়ারের উপরে ও স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচে এই এরোসেলের স্তর তৈরি হয়। ভূপৃষ্ঠের ১৬.৫ কিলোমিটার থেকে ১৮.৫ কিলোমিটারের মধ্যে তৈরি হয়েছে নাইট্রেট সমেত এরোসেলের স্তর। এই স্তর মূলত তৈরি হয়েছে ০.২৫ মাইক্রনেরও কম আয়তনের কণা ও বাকি উদ্বায়ী গ্যাস দিয়ে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূপৃষ্ঠে যত দূষণ বাড়বে, তত ঘন হবে এই এরোসেল স্তর। সাম্প্রতিক গবেষণায় নাইট্রেটের যে উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তা লক্ষণীয়। ফলে এই গ্যাসের মিশ্রণ ধীরে ধীরে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে যৌথ বিবৃতিতে এটাও জানানো হয়েছে- যে নাসা ও ইসরো যৌথ উদ্যোগে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। দুই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, এই এরোসোল প্রতিরোধে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রচার চালান হবে। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে যাতে দূষণ রোধ করা যায় সে চেষ্টাও করা হবে। চলতি বছর থেকে ২০২০ পর্যন্ত চালান হবে এই প্রচার।