প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ড. কামাল হোসেন সাহেবের পকেটে সবসময় একটা টিকিট থাকে, উনি যখন একটা গরম বক্তৃতা করেন তখন ওনার প্লেন রেডি থাকে।
রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নেপালে সদ্য সমাপ্ত চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলন প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড. কামাল গং, যারা একসঙ্গে হয়েছে তারা আদৌ নির্বাচন চায় কি না? কারণ বাংলাদেশে একটা শ্রেশি বসেই থাকে একটা অনির্বাচিত কিছু আসলে, তারা একটা ফ্ল্যাগ পায়। ড. কামাল হোসেনও আন কনটেস্টে জিতে এসেছিলেন। জাতির পিতা একটা আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেই সিটে কেউ কনটেস্ট করে নাই। উনি (ড. কামাল হোসেন) এমপি হয়ে আসলেন। সেই আনকনটেস্টের যিনি এমপি, তিনি আনকনটেস্ট মানতে চান না। নিজেকে আবার সংবিধান প্রণেতা দাবি করেন, এখন আবার সেই সংবিধানও তিনি মানতে চান না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সব মিলিয়ে একটা জোট করেছে, এটা ভালো। বাংলাদেশে তো দল দুটি দল, একটা আওয়ামী লীগ, আরেকটা আওয়ামী লীগ বিরোধী। আওয়ামী লীগ বিরোধীদের তো একটা জায়গা থাকা দরকার।’
তিনি বলেন, অন্ততপক্ষে একটা ভালো জোট হোক, আমরা নির্বাচনটা কনটেস্ট করি। একটা তো বিকল্প থাকতে হবে। বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা করলেন, সেটা এখন স্বকল্প হয়ে গেছে। আমাদের তো কোনো কিছু হলে সব উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি তো মৃত্যুর মুখে আছি সবসময়। একটু আন্দোলন দেখলেই সেটার ঘাড়ে চড়ে সবাই বসতে চায়। যখন আন্দোলন হয় তখন আমি দেখি। তারপর কেউ সেই আন্দোলনের ঘাড়ে যদি কেউ চড়ে, তাকে সরিয়ে দেই। তারাও পড়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, সেই আন্দোলন করে যদি কেউ সফল হয় আর যদি উত্তরপাড়া থেকে কেউ আসে- সেটাই তো উনারা চান। সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্র তো তারা চান না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশে হবে, নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারোর নেই।