হুলেন লোপেতেগির রিয়াল মাদ্রিদ কি তাহলে পেপ গার্দিওলায় বার্সেলোনায় পরিণত হচ্ছে?
শিরোপা জয়ের সংখ্যায় গার্দিওলার সঙ্গে লোপেতেগির তুলনাই চলে না। মিলটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে পাসিং ফুটবলে। গার্দিওলার বার্সার কোচ (২০০৮-১২) থাকতে পাসিং ফুটবলের পসরা দেখা যেত কাতালান ক্লাবটির খেলায়। গার্দিওলার প্রস্থানের পর বার্সার পাসিং ফুটবলের ধারও কমে এসেছে। মাঠ বড় করে রাকিতিচ-বুসকেটসদের এখন দূরপাল্লার পাস দিতেও দেখা যায়। আর রিয়ালকে দেখা যাচ্ছে গার্দিওলার বার্সার মতো খেলতে। পাস আর পাস!
কাল লা লিগায় লেগানেসের বিপক্ষে রিয়ালের ৪-১ গোলে জয়ের ম্যাচের কথাই ধরুন। এ ম্যাচে সর্বোচ্চ পাসের ক্লাব রেকর্ড ভেঙেছে লোপেতেগির রিয়াল। ৮৬৯টি পাস খেলেছেন মদরিচ-কাসেমিরো-ক্রুসরা। এর মধ্যে সফল পাসসংখ্যা ৭৯৮। রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে রিয়াল কোনো ম্যাচে কখনো এত পাস খেলেনি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা ম্যাচগুলোর মধ্যে কালকের ম্যাচেই সবচেয়ে বেশি পাস খেলেছে রিয়াল। ২০১৬ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জাপানের কাশিমা অ্যান্টলার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ৮৮২টি পাস খেলেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। সেই ম্যাচ গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে।
লা লিগায় এ পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে রিয়াল। এই তিন ম্যাচেই লোপেতেগি বুঝিয়ে দিয়েছেন, শিষ্যদের নিয়ে পাসিং ফুটবলেই তিনি বেশি মনোযোগী। লা লিগায় কাল পর্যন্ত পাসিং ফুটবল খেলায় রিয়াল কিন্তু বাকি দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে। মোট ১৫০৫টি পাস খেলেছেন লোপেতেগির শিষ্যরা। বার্সা ১৪৭০টি পাস খেলে রিয়ালের পেছনে। যদিও এ পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলেছে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল।
হোসে মরিনহো রিয়ালের কোচ থাকতে বার্সার চেয়ে ২৭,৩৬৬টি পাস কম খেলেছিল ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা। পর্তুগিজ এই কোচের অধীনে রিয়াল কিন্তু লিগ শিরোপাও জিতেছে। লোপেতেগি টানা তিন ম্যাচেই জয়ে তুলে নেওয়ায় আপাতত তাঁর পাসিং কৌশল কিন্তু পাস করে যাচ্ছে রিয়াল-সমর্থকদের কাছে। অথচ রিয়ালের এসব খেলোয়াড়ই এত দিন গতি, প্রতি-আক্রমণ আর দূরপাল্লার পাসে তছনছ করেছেন প্রতিপক্ষ দলকে। লোপেতেগির অধীনে সেই খেলোয়াড়েরাই নিজেদের কেমন বদলে ফেলেছেন! সফল পাসের হারে রিয়ালের খেলোয়াড়েরা (৯০.৭৬ শতাংশ) বার্সার (৮৭.৮৯ শতাংশ) চেয়ে এগিয়ে।