সোহেল আহমেদঃ বরিশাল-সাংবাদিক অঙ্গনের প্রতিবাদি এক নিরোপেক্ষ কন্ঠস্বর সাংবাদিক কাওছার হোসেন। মহান পেশা সাংবাদিকতাকে যেসব অপসাংবাদিকরা নানা অপকর্মে কোলোসিত করছে, তাদের দমনে অনেকটা একাই লড়ছেন এই উদীয়মান তরুণ সাংবাদিক। নামে বেনামে কার্ড দেখিয়ে সাধারন মানুষকে কতিপয় অপসাংবাদিকরা যখন হয়রানি করছে,তখন স্থানীয় মিডিয়া অঙ্গনের সিনিয়র কর্তারা নিরব দর্শক। আর ঠিক তখন মাঠের রেফারী ভুমিকায় কাওছার হোসেন। নিজস্ব সততা,বিচক্ষণতা,মেধা শক্তি বিকাশের কর্মদক্ষতায় সাহসী সাংবাদিকতায় কাওছারকে শির্ষ্য নিয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।
আজ সাংবাদিক কাওসার হোসেন এর জন্মদিন। নগরীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে কাওসারের জন্ম। ছোট বেলা থেকেই এই তরুণ চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন কাওসার। পড়াশুনার ফাকে সময় পেলে নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে জাগ্রত করতেন। বন্ধু বান্দবসহ সহকর্মীদের নিকট কাওছার একজন ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। সাংবাদিক না হলে আজ তিনি হয়ত বড় মাপের ক্রিকেটার হতে পারতেন।
সরকারি বরিশাল-কলেজ থেকে ইন্টার পাশ করে সরকারি বিএম কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার শেষ করেন তিনি। বরিশাল থেকে প্রচারিত দৈনিক মতবাদ’র পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। কাজ করেছেন দৈনিক দক্ষিনাঞ্চল,জাতীয় অনলাইন পোর্টাল বিডি নিউজ,নিউজ চ্যানেল সময় টিভির বরিশাল প্রতিনিধি হয়ে। বর্তমানে জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল যমুনা টিভি’র বরিশাল-ব্যুরো প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ বরিশাল-প্রেসক্লাবের সদস্য,রিপোটার্স ইউনিটির সদস্য,টেলিভিশন মিডিয়া এসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন। দ্বায়িত্ব পালন করছেন সরকারি বিএম কলেজ জার্নালিস্ট এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও।
পেশাগত দ্বায়িত্বপালন কালে সংবাদ নিরেপেক্ষ থাকার চেস্টা করছেন। কর্মরত প্রতিষ্ঠানের দিকনির্দেশনা মতে কাজ করে অফিস ম্যানেজমেন্টের প্রশংসনিয় সাংবাদিক কাওছার। স্পস্ট কথনের জন্য সাংবাদিক কাওছার অনেকের বেশ জনপ্রিয়। আবার অনেকের চোখে বাঁকা। এরপরও সচেতনমহলে নিরপেক্ষতার প্রতীক কাওছার সর্বজনগ্রাহ্য তরুণ সাংবাদিক।
বরিশাল-রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস আর্থটাইমস্ ২৪ ডটকমের প্রতিবেদককে বলেন ,বরিশালে সাংবাদিকতায় কাওছার এক কথায় বললে ‘নাম্বার ওয়ান’। আমার ২০ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে ওর মত (কাওছার) ভালো মনের সাংবাদিক দেখিনি। সে সাদাকে সাদা,কালোকে কালো বলতে মোটেও দ্বিধা করে না বলে মন্তব্য করেন নজরুল বিশ্বাস।
সাংবাদিক প্রশ্নে কাওসার যখন প্রতিবাদি কন্ঠস্বর তবে কি প্রয়াত সাংবাদিক মীর মনিরুজ্জামান,লিটন বাসারের পথেই হাটছেন কাওছার ? বিটিভি,জাতীয় দৈনিক আজকের কাগজের বরিশাল-প্রতিনিধি ছিলেন মীর মনিরুজ্জামান। এছাড়াও সৎ সাংবাদিকতার লড়াকু কলম সৈনিক রিপোটার্স ইউনিটি,প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক ও দৈনিক সত্যসংবাদের সম্পাদকেরর দ্বায়িত্বে ছিলেন মীর মনিরুজ্জামান। সাংবাদিকতার দীর্ঘ পথ চলে কতটা সৎ ছিলেন মীর মনিরুজ্জামান,তার উদাহরণ নগরীর শীতলাখোলার পৈতৃক টিনের ঘরটি। পেশাগত জীবনে স্পস্টবাদীতা আর মানব সেবায় নিয়োজিত থেকেও আর্থিক খড়ায় ছিলেন এই সাংবাদিক গড়ার কারিগর। সহকর্মীদের পাশে থাকার অন্য কীতৃমান মহাপুরুষ দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল ব্যুরো প্রধান, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পদক প্রয়াত লিটন বাসার। অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে তিনিও ছিলেন সোচ্চার।
এসব গুনী সাংবাদিকদের প্রস্থানের পর তরুন সাংবাদিক কাওসার হোসেন যেনো অঘোষিত এক সাংবাদিক নেতা! অপসাংবাদিকতার বিষয়ে জানতে চাইলে কাওছার হোসেন বলেন,যারা সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজী করছে, তাদের এই অঙ্গনে থাকার অধিকার নেই। যদি বেঁচে থাকি বরিশাল থেকে অপসাংবাদিকতার শেখর উপরে ফেলবো।