সোহেল আহমেদ| পানিতে ভাসছে মধ্যফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। চরম ঝুকির মধ্যে চলছে দেড় শতাধিক শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম। স্থানিয় জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান করলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার। বরিশাল জেলা প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তবে স্থানিয় বাসিন্দাদের দাবী,এলাকার রাজনৈতিক রেশারেশির কারোণে কোনো জন প্রতিনিধিই বিদ্যালয়ের প্রতি ভ্রুক্ষেপ দেননা।
স্থানিয় সুত্রে জানা গেছে,বরিশালের বাকেরগঞ্জের মধ্যফরিদপুর ইউনিয়নের ১৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের অবগতকাঠামো উন্নয়ন হলেও অবহেলায় নিমজ্জিত মধ্যফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাবেক চেয়ারম্যানের আমলে বিদ্যালয়টির বেশ উন্নয়নমুলক কাজ হলেও বর্তমানে তা অবহত নেই। বিদ্যালয়ের মাঠ ও এর আশপাশ বর্ষা মৌশুমসহ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক সময় পানির বেরে গেলে শিশুদের ডুবে যাওয়ার আশংকা থাকে। নদীপ্রবন এলাকাটির বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
সরকারের ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতির যুগে উন্নয়নবঞ্চিত বিদ্যালয়ের এই দুরবস্থা লেগে থাকে বছরের চার থেকে পাঁচ মাস। ফলে দারুণভাবে ব্যঘাৎ ঘটছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। স্থানিয়দের হিসেব মতে একলাখ টাকা অর্থসহয়তা পাওয়া গেলে মাটিভরাট করে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে পানির জন্য শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা স্বিকার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ তালুকদার। উর্দ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে প্রতিবেদককে তিনি বলেন তারা জানেন তবে লিখিত আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ক্রিড়াবিদ নওরোজ হিরা বলেন,আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে মহাটেনশনে রয়েছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্ট কামনা করেন নওরোজ হিরা।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের দুরবস্থা সম্পর্কে অাবগত রয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। পানির জন্য শিশুদের দুর্ঘটনায় পড়ার আশংকা করে সমস্যা উত্বরনে স্থানিয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
জানতে চাইলে,মধ্যফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: সফিকুর রহমান বলেন,এটি নিম্নাঞ্চল নদীপ্রবণ এলাকা। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা বেশকয়েকটি বিদ্যালয়ের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছি। এই বিদ্যালয় সম্পর্কে আজই জানতে পারলাম। ঈদের পরে আবেদন করবেন জানিয়ে গনমাধ্যমের মাধ্যমে বরিশাল-জেলা প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষণ করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। এদিকে স্থানিয় একাধিক সুত্রের দাবী,সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল বারেক সিকদারের বাড়ির দরজার স্কুল বলে রাজনৈতিক রেশারেশির জন্যই অন্য চেয়ারম্যানসহ কোন জনপ্রতিনিধি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে এগিয়ে আসেন না।