পাবনায় মা-ছেলে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর চরতারাবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হচ্ছে- চরতারাবাড়িয়া গ্রামের সুমন জোয়ার্দারের স্ত্রী রুশি (২৫) ও তাদের দুই বছরের ছেলে ইরফান জোয়ার্দার রোহান।
স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে সুজানগর উপজেলার হেমরাজপুর গ্রামের মোনাম সেখের মেয়ে রুশির (২৫) সঙ্গে পাবনা সদর উপজলোর চরতারাবাড়িয়া গ্রামের গফুর জোয়ার্দারের ছেলে সুমন জোয়ার্দারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এক সপ্তাহ আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রুশি ছেলে রোহানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। সুমন তাকে অনেক বুঝিয়ে আবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় সুমনের ঘরে স্ত্রী রুশি এবং ছেলে রোহানের গলাকাটা মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
পাবনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কে বা কারা কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত রুশির স্বামী সুমনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, সুমন ঢাকায় মাইক্রোবাস চালাতেন। কিছুদিন হলো তিনি ওই কাজ বাদ দিয়ে বাড়িতে এসে মাছের ব্যবসা শুরু করেছেন। সুমন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করছেন। কিন্ত যেই জড়িত থাকুক তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
এদিকে রুশির বাবা-মায়ের অভিযোগ, সুমনই তাদের মেয়ে ও নাতিকে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, সুমন এর আগেও ২টি বিয়ে করেছিল। কিন্ত ওই দুই স্ত্রীর সঙ্গে কিছুদিন সংসার করার পর তিনি তালাক দেন। রুশি ছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী।