মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে এক জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
আগামীকাল বুধবার ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান রাখাইন প্রদেশের সহিংসতার ঘটনাকে জাতিগত নিধন বলে সতর্ক করার পরই জরুরি বৈঠক ডাকল সংস্থাটি।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে নিজেদের দেশে থাকা প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়ায় ভারতের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। সোমবার কাউন্সিলের ৩৬তম অধিবেশনে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন ভারতের সমালোচনা করেন।
গত ২৫ আগস্ট বেশ কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। তারপরই দ্বিতীয়বারের মতো সহিংসতা শুরু হয় রাখাইনে।
সোমবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রা’দ আল হুসেইন রাখাইনে ‘নৃশংস সামরিক অভিযান’ গুটিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্য করে দেশটির সেনাবাহিনী যে অভিযান পরিচালনা করছে তা জাতিগত নিধনের শামিল।
ওই সতর্কতার পরই বুধবার এই সংকট নিয়ে কথা বলতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নীরব ভূমিকার কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। শান্তিতে নোবেল পাওয়া এই নেত্রী রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য কেন কিছু করছেন না তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। অনেকেই তার এই অবস্থানকে দুর্বল রাজনৈতিক কৌশল বলে উল্লেখ করেছেন।