বাংলাদেশের বাস্তব শিক্ষা ও তাত্ত্বিক শিক্ষা

বি‌দিতা রহমান।।
(রিসার্চ অ্যা‌সিস্ট্যান্ট সেইন্ট জন্স ইউনির্ভা‌সি‌টি নিউইয়র্ক)

বাস্তব শিক্ষা বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের সাথে জ্ঞান লাভ করে। জ্ঞান অর্জনের সবচেয়ে ভাল উপায় হল আমার জন্য বাস্তব জ্ঞান। ব্যবহারিক জ্ঞানের সর্বোত্তম অংশটি আমরা যা কিছু শিখতে পারি তা ব্যবহারিক ভাবেই এই জ্ঞান দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে থাকবে। ব্যবহারিক শিক্ষায় যদি অধ্যয়ন উপভোগ করি তবে সেটা শেখার সেরা অংশ হিসেবে কাজ করবে , যা ছাত্রছাত্রীরা আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে শিখতে পারবে, তাহলে আপনি কখনও আপনার শিক্ষার প্রতি বিরক্ত বা অনুভূতি বোধ করবেন না। আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন যে বাস্তব জ্ঞান কেবল কম্পিউটার বা ব্যবস্থাপনা কোর্সের মধ্যেই উপকারী। কিন্তু এই চিন্তা সম্পূর্ণ ভুল। প্রাকটিক্যাল জ্ঞান সহজেই কোন কোর্সে ফিট হয়। আজ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বাস্তব পদ্ধতি প্রয়োজন। প্রাকটিক্যাল জ্ঞান শিক্ষার্থীদের শেখার সর্বোত্তম উপায় বা যারা শিখতে চান তাদের জন্যও। ভবিষ্যতের কোনও কোম্পানির মধ্যে একটি ভালো চাকরির জন্য যথোপযুক্তভাবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য চমৎকার সুযোগ রয়েছে। যদি আপনি সফল ব্যক্তিদের জিজ্ঞেস করেন তবে তারা স্পষ্টভাবে বলতে পারবে যে তারা শিক্ষার পক্ষে। বাস্তব জ্ঞানের সুযোগ প্রসারিত এবং আপনি শিক্ষার ব্যবহারিক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার জ্ঞানকে উন্নত করতে পারেন।

থিওরেটিক্যাল জ্ঞান ব্যবহারিক পদ্ধতি না থাকলে শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না । যারা তাত্ত্বিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তারা বুঝতে পারে না যে তারা তাত্ত্বিক শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতের সাথে খেলছে। আজ বেশিরভাগ ছাত্রই তাদের বিষয় তাত্ত্বিক পদ্ধতিতে শিখছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে না এবং শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত পরীক্ষার কিছুদিন আগে তারা তাত্ত্বিক ভাবে তাদের গবেষণা শুরু করে। তাত্ত্বিক উপায়ে তারা কেবল একই লাইনে ৮ থেকে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করার পর তাদের এক লাইন পড়ার অর্থ হচ্ছে, বাক্যটি কী বোঝায় বা যা তারা শিখছে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নয়, তারা শুধু তাদের শিক্ষা এবং তাদের ভবিষ্যতকে নষ্ট করছে। তাত্ত্বিক পদ্ধতি সর্বদা তাদের দ্বারা অনুসরণ করে যারা শিক্ষার অর্থ বুঝতে পারে না। যদি তারা (শিক্ষার্থীরা) তাত্ত্বিক পদ্ধতিতে প্রবেশ করে তবে এটা কেবল আপনার সময়ের এবং আপনার শিক্ষার অপচয়। তাত্ত্বিক জ্ঞান আজকের বিশ্বের জন্য খুব কম সুযোগ। তাত্ত্বিক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি এমনকি কোনও কোম্পানির মধ্যে ভাল কাজের কথা ভাবতে পারবেন না কারণ কোন কোম্পানি সেইসব শিক্ষার্থী গ্রহণ করতে আগ্রহী নয় যাদের বিষয় জ্ঞান নেই এবং এই কোম্পানীর দৃষ্টিভঙ্গি কার্যতঃ ছাত্রদের তাত্ত্বিক তত্ত্বগত শব্দ বলে মনে করে। যারা তাদের স্কুল জীবনে প্রাকটিক্যাল প্রাকটিস পদ্ধতিতে যান না আর যারা তাদের শিক্ষার মূল অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিখতে অক্ষম।