রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সেরা রক্ষণভাগ বলা চলে ব্রাজিলের। থিয়াগো সিলভা আছেন দারুণ ফর্মে। সিলভার দারুণ ফর্ম এবং ফিটনেসের কারণে তার পিএসজি সতীর্থ মারকুইনোস দলে সুযোগই পাচ্ছেন না। মিরান্ডা আছেন দারুণ ছন্দে। সঙ্গে বেঞ্চ থেকে শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া ফাগনার কিংবা ফিলিপে লুইস রক্ষণে তাদের দক্ষতা দেখিয়েছেন। দানিলোর বদলি হিসেবে নামা ফাগনার তো এক প্রকার দলে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন।
মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরলেও দানিলোকে মাঠে নামাননি ব্রাজিল কোচ। এছাড়া ফিলিপে লুইস শেষ দুই ম্যাচে যে পারফর্ম দেখিয়েছেন তাতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে মার্সেলো নাকি লুইস এই প্রশ্ন ব্রাজিল কোচের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
তবে ব্রাজিলের দারুণ এই রক্ষণের মধ্যেও বেলজিয়াম একটি ফাঁক খুঁজে নিতে পারে। তাও সেটা ব্রাজিল দলের ঠিক বুক বরাবর। ব্রাজিলের বিপক্ষে বেলজিয়াম যে স্বপ্ন দেখছে তা ওই বুক বরাবর পাওয়া ছিদ্র দিয়ে। আর ব্রাজিলের ওই ছিন্দ্রের নাম কাসেমিরো। ব্রাজিলের ডিফিন্সিভ মিডফিল্ডার।
সেলেকাওদের রক্ষণ এবং আক্রমণের মাঝখানে তালগাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকা কাসেমিরো বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে থাকছেন না। আর তাই বেলজিয়াম ওই সুযোগ ধরে আক্রমণে উঠতে পারে। ব্রাজিল কোচ তিতে এর আগে তার দল নিয়ে বলেন, নেইমার-কৌতিনহো নন ব্রাজিলের গোপান অস্ত্রের নাম কাসেমিরো। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে এবং মেক্সিকোর বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে কাসেমিরো কোচের এমন মন্তব্যের কারণ ভালো মতোই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
প্রতিপক্ষের আক্রমণের অর্ধেক তিনি মাঝমাঠেই আটকে দেন। কিন্তু কোস্টারিকা এবং মেক্সিকোর বিপক্ষে দুই ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ড দেখেছেন তিনি। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার পর্যন্ত কোন ফুটবলার দুটি হলুদ কার্ড দেখলে তাকে এক ম্যাচ বসে থাকতে হবে। আর সেই খড়গে পড়েছেন কাসেমিরো।
তবে রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কাসেমিরোর জায়গায় যিনি থাকবেন তিনিও কোন সহজ নাম নন। তিতের একাদশে কাসেমিরোর জায়গায় হয়তো সুযোগ মিলবে ম্যানসিটির ফার্নান্দিনহোর। তবে কাসেমিরোর জায়গায় দেখা যেতে পারে পাউলিনহোকে। আর ফার্নান্দিনহো থাকতে পারেন কিছুটা ওপরে পাউলিনহো শুরুর ম্যাচগুলোতে যেখানে খেলেছেন ওই পজিশনে। তবে কোচের জন্য চিন্তার কারণ আবার পাউলিনহোর পুরো ম্যাচে না খেলা। এছাড়া পাউলিনহো ব্রাজিলের শেষ অনুশীলনও মিস করেছেন।
তবে বার্সেলোনা তারকা পাউলিনহো অনুশীলনের ঘাটতি নিয়ে মাঠে নামতে নারাজ। আর তাই ব্রাজিল দলের অনুশীলনের বাইরে তিনি আলাদা করে কিছু অনুশীলন করেছেন। তবু্ও ব্রাজিল কোচ তিতে আছেন চিন্তায়। কারণ পাউলিনহো তো আর কাসেমিরো নন।
টটেনহ্যামের সাবেক ফুটবলার পাউলিনহোর আবার ওপরে উঠে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। যেটা ব্রাজিলের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে ব্রাজিল কোচ নিশ্চয় কৌশলের মার প্যাচে সব সমাধান করে ফেলবেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে পাউলিনহো-ফার্নান্দিহোকে একসঙ্গে খেলানোর কৌশলও নিতে পারেন ব্রাজিল কোচ তিতে।