আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত চারজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করেছে নির্বাচনী কর্মকর্তা। এর মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাতীয় পার্টির নেতা বশির আহম্মেদ ঝুনু এবং কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ জামাল হোসেন নোমান ও সুমন হাওলাদার আশিষ। এরমধ্যে ইকবাল হোসেন তাপসকে ঋন খেলাপী ও বশির আহম্মেদ ঝুনুকে সমর্থনহীন বিধায় বাতিল করা হয়েছে।
ঋণের কারনে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় সুমন হাওলাদার আশিষের। আর তথ্য গোপন করার অবিযোগ এনে সৈয়দ জামাল হোসেন নোমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটানির্ং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান। জানা গেছে এসব প্রার্থীদের মধ্যে মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ জামাল হোসেন নোমান বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবেন। প্রার্থীদের অভিযোগ, অন্য প্রার্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা এমন কাজ করছেন। সৈয়দ জামাল হোসেন নোমান মনে করেন, তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। কারন হিসেবে এই প্রার্থী জানান, নির্বাচন অফিস জানিয়েছে তিনি তথ্য গোপন করেছেন। একইসাথে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রমনা কর্পোরেট শাখায় ঋন খেলাপি রয়েছে বলে নির্বাচন অফিস জানিয়েছে।
কিন্তু নোমানের দাবী, শুধু রমনায় নয় পুরো বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের যত শাখা রয়েছে তার কোথাও নোমানের ঋণ খেলাপি দূরের কথা ওই ব্যাংকে কোন এ্যাকাউন্টই নেই। তার দাবী, এ্যাকাউন্ট না থাকলে ঋণ খেলাপি আসে কিভাবে তা আমি বুঝি না। এ কারনে নির্বাচন অফিসের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় নির্বাচন অফিসে আপিল করবেন। ওদিকে নির্বাচন অফিসের আদেশের বিষয়ে তাৎক্ষনিক কোন কথা বলতে রাজি হননি ইকবাল হোসেন তাপস। তবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাপস বলেন, ঋণ যা ছিল তা পরিশোধ করে দিয়েছি। নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, নির্বাচনী কর্মকর্তা তাপসের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে তথ্যগত ভ্রান্তির কারনে। তাই এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করবেন তাপস। উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন।