ফরাসি গতির কাছেই হার মেসিদের ছন্দময় ফুটবলের

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আগেই জানা ছিল, ম্যাচটা জিততে হলে ফরাসি ফুটবলের গতির রেশ টেনে ধরতে হবে আর্জেন্টিনাকে। গ্রিজম্যান, এমবাপ্পে, জিরুদদের পাল্টা আক্রমণটাকে রুখতে হবে। আর ছন্দময় খেলাটা খেলে গোল আদায় করে নিতে হবে মেসি-মারিয়াদের। সেখানেই মার খেল আর্জেন্টিনা। ফ্রান্সের গতিটাকে রুখতে পারল না সাম্পাওলির দল। ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হারলেও মেসিদের ছন্দময় ফুটবলটা সবার মন ভরিয়েছে।

ম্যাচের নবম মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারত আর্জেন্টিনা। আতোয়ান গ্রিজম্যানের বুলেট গতির শটটা গোলবারে লেগে ফিরে আসে। গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি দেশমের দলকে। ১১তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গতির সঙ্গে পেরে উঠেনি মাকোর্স রোহো। উপায় না দেখে, ডি বক্সে পিএসজি তারকাকে ধাক্কা মারেন তিনি। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে মোটেও দেরি করেনি ইরানের রেফারি আলিরেজা ফাগানি। আর স্পট কিক থেকে গোল করতে সময় নেননি গ্রিজম্যান।

ম্যাচে তখন ফরাসিদের আধিপত্য। ফুটবলের ওয়েবসাইটগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রথম ২৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৮০ ভাগ বল দখল রাখে ফ্রান্স। ২১তম মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়তে পারত আর্জেন্টিনা। ফরাসি রক্ষণভাগ থেকে দেওয়া পল পগবার দেওয়া বলটা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন এমবাপ্পে। এবার ডি বক্সের ঠিক বাইরে ট্যাগলিয়াফিকো ধাক্কা মারেন এমবাপ্পকে। পগবার নেওয়া ফ্রি কিক আর্জেন্টিনার গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ঠিক আগে সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। এই সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নিজেদের কাছে নিয়ে নেন মেসিরা। অসাধারণ এক শটে ফ্রান্সের গোলপোস্ট কাঁপান ডি মারিয়া। বিরতির পর মার্কাদোর গোল ফরাসিদের বিস্মিত করে দেয়। তবে কয়েক মিনিট পর পাভার্দ ও এমবাপ্পে আর্জেন্টিনার উল্লাস থামিয়ে দেন। শেষ মূহূর্তে আগুয়েরো গোল করে রোমাঞ্চটা ধরে রাখলেও আর্জেন্টিনার হার ঠেকানো যায়নি।

এই ম্যাচে গতির ফুটবলের কাছে হার মেনেছে মেসিদের ছন্দময় ফুটবল। বিশেষ করে এমবাপ্পের গতির কাছে ওতোমেন্দি, মাশ্চেরানোরা ছিলেন অসহায়। এছাড়া গ্রিজম্যান, মাতুইদি ও পল পগবাও গতিময় ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসেন। ফরাসি দলটা এই গতি ধরে রাখলে এবারের আসরে তাদের ঠেকানো মুশকিলই হবে।