বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী সরোয়ারের মনোনয়ন পত্র দাখিল

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে  ধানের শীর্ষের প্রার্থী -উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে প্রার্থীরা তাদেরর সমর্থকদের সাথে নিয়ে স্বতঃফুর্তভাবে  দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ধানের শীর্ষের মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রথম বারের মত নির্বাচিত মেয়র এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার তার মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যলয়ে আসেন।

এসময় তার সাথে কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মেজবা উদ্দিন ফরহাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড.কামরুল ইসলাম সজল, বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু,বরিশাল মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান খান ফারুক,মহানগর সাধারন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার,জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক এ্যাড. আবুল কালাম শাহিন সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সরোয়র তার মনোনয়ন পত্র আঞ্চলিক নির্বাচন ও রিটানিং অফিসারের হাতে দাখিল করেন।

এসময় মজিবর রহমান সরোয়ার গন মাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, খুলনা ও গাজীপুরের দুটি নির্বাচন দেখে জনগন বিস্মিত হয়েছে।এছাড়া বরিশালের সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর আত্বীয় তাছাড়া তার বাবা এ অঞ্চলের একজন মন্ত্রী সেখানে নির্বাচন করা মানেই হাত-পা বাধা সাতার কাটার মত।তারা দলীয় ক্ষমতা অপব্যাবহার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজে লাগিয়ে জনগনের ভোট কেড়ে নিতে চাইবে।ভেবে ছিলাম গত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পর সরকারের শুভবুদ্ধি হবে কিন্তু আমরা ৫ বছরে কি দেখতে পেয়েছি সরকার দেশের গনতন্ত্র আর জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এক নায়কতন্ত্র ভাবে দেশ পরিচালনা করছেন।তিনি আশা করেন সরকার বরিশালে একটি শান্তি পূর্ণ নির্বাচন উপহার দেবেন যাতে এখানকার মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার করতে পারেন।

বরিশালের সিটি নির্বাচনে খুলনা ও গাজীপুরের মত জনগনের ভোট কেড়ে নিয়ে বিজয়ী হতে চায় তাহলে এখান থেকে গনতন্ত্র উদ্বারের আন্দোলন আরো বেগবান করা হবে।
এছাড়া তিনি তার নির্বাচনের ইস্তেহারের কথা বলেন সে নির্বাচিত হলে বরিশাল সিটির বর্ধিত এলাকা এলাকার মানুষের উন্নয়নের কাজ করা হবে।
নগরীর উন্নয়নের পাশাপাশি নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য নগর থেকে হারিয়ে যাওয়া খালগুলো পূর্ণ উদ্ধার করার জন্য কাজ করবেন।

এছাড়া সাধারন কাউন্সিলর পদে ১শত ১জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন অন্য দিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৭জন তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

আঞ্চলিক নির্বাচন কার্য়ালয় থেকে জানা গেছে মেয়র পদে ৯জন, সাধারন কাউন্সিলর পদে ১শত ৩৪জন, ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন।