এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজধানীতে অনশনরত শিক্ষকদের অসুস্থতার তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এরপরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। গত তিন দিনের অনশনে অর্ধশতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশে শিক্ষকদের কর্মসূচিতে গিয়ে দেখা যায়, শরীরে স্যালাইন নিয়ে শিক্ষকরা শুয়ে আছেন পলিথিন বা পেপারের ওপর। নারী-পুরুষ শিক্ষক নির্বিশেষে তারা দিনের পর দিন সড়কে বসে আছেন সরকারের দৃষ্টি কাড়তে। ১৭ দিনের কর্মসূচিতেও সরকারের কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার নিজেও অসুস্থ। তিনি বলেন, তিন দিনে ৫৫ শিক্ষক অসুস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায়ও।
তিনি বলেন, অনশনস্থলে দু’জন পল্লী চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে ২৫ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের উত্তর পাশের সড়কে শিক্ষকরা অনশন শুরু করেন।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার দিওড় নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন মঙ্গলবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকালও প্রচণ্ড গরম ও না খেয়ে থাকায় ৩০ শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
২০১০ সাল থেকে সব ধরনের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত বন্ধ রয়েছে। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারাদেশে আছে প্রায় ৫ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী আছেন ৭৫ থেকে ৮০ হাজার।