বরগুনার আমতলীতে যৌতুকের জন্য দু’সন্তানের জননী নাজমা আক্তার (৩৫) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী হারুন সিকদার । ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে। এ ঘটনায় নাজমা আক্তারের ভাই মোঃ স্বপন হাওলাদার বাদী হয়ে হারুন সিকদার (৪০) ও তার পিতা মৌজে আলী সিকদার (৫০) কে আসামী করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বুধবার বিকেলে ঘাতক স্বামী হারুন সিকদারকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের মোঃ দেলোয়ার মিয়ার মেয়ে নাজমার সাথে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের মৌজে আলী সিকদারের পুত্র হারুন সিকদারের সাথে ১৬ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর হারুন স্ত্রী নাজমাকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। নির্যাতনের কারনে শশুর বাড়ী লোকজন হারুনকে বিভিন্ন সময় কয়েক লক্ষ টাকা যৌতুক দেয়। হারুন সিকদার ও নাজমা দম্পত্তির মারিয়া (১২) ও সজীব (১০) নামের দুটি সন্তান রয়েছে।
নাজমার ভাই মোঃ স্বপন মিয়া জানান, বোনের শান্তির জন্য ১৬ বছর ধরে যৌতুক দিতে দিতে আমারা অসহায় হয়ে পড়েছি। ঘটনার তারিখ গত ১৭ জুন নাজমার কাছে ব্যবসার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক চায় ভগ্নিপতি হারুন। তখন নাজমা বাপের বাড়ী থেকে টাকা এনে দিতে পারবেনা বললে হারুন তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ খবর পেয়ে নাজমার পিতার বাড়ীর লোকজন হারুনের বাড়ী থেকে নাজমাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে নাজমার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যান। একদিন পর নাজমা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ায় বরিশাল শেবাচিম হাপাতালে নিয়ে যায়। বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় বুধবার দুপুরে নাজমা মারা যায়।
এ ঘটনায় নাজমার ভাই স্বপন হাওলাদার বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী হারুন সিকদার (৪০) ও তার পিতা মৌজে আলী সিকদার (৫০) কে আসামী করে আমতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন জানান, নাজমার ভাইয়ের দায়েরকৃত মামলার আসামী হারুন সিকদারকে বুধবার বিকেলে আমতলীর মাছ বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।