বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে এসেছে পানামা। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে ছোট দলগুলো যেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় দলগুলোর সামনে। ফেবারিটদের হোঁচট খাওয়ার বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বিপক্ষেও বেশ শক্ত রক্ষণভাগ নিয়ে প্রায় আটকে ফেলেছিল পানামা কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি নবাগত দলটির। মার্টেনসের অসাধারণ গোল এবং রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে পানামাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করলো বেলজিয়াম।
ম্যাচের ৬ মিনিটে বা-পাশ থেকে কারাসকোর দূরপাল্লার শট সহজেই রুখে দেন পানামার গোলরক্ষক পেনেদো। ১১ মিনিটে পানামার টরেস গোলরক্ষককে ব্যাক পাস দিতে গিয়ে ভুল করে হ্যাজার্ডকে বল উপহার দেন। গোলমুখের একদম সামনে থেকে নেওয়া হ্যাজার্ডের শটটি বাইরে চলে গেলে বেলজিয়ামের সহজ সুযোগ নষ্ট হয়। ১৮ মিনিটে মার্টেনসের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩৮ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর হ্যাজার্ডের বুলেট গতির শট রুখে দেন পেনেদো। ৪১ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ভলি করেন মার্টেনস কিন্তু এটাও খুঁজে পায়নি গোলের নিশানা। প্রথমার্ধের পুরো সময়টা বল দখলে আধিপত্য দেখালেও গোলমুখে মাত্র ৩টি শট নিয়ে কোন সুবিধা করতে পারেনি বেলজিয়াম। অন্যদিকে গোলমুখে একটি শটও নেওয়ার সৌভাগ্য হয়নি পানামার। গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে বেলজিয়াম। ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ৪৭ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে দূরপাল্লার দর্শনীয় এক ভলিতে দুর্দান্ত গোল করে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন নাপোলির ফুটবলার মার্টেনস। ৫৪ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিল পানামা। কিন্তু ডি বক্সের ভেতর শুধু কর্তোয়াকে পেয়েও পানামার ফুটবলার মুরিলো শট করেন কর্তোয়ার গায়ে।
৬৯ মিনিটে আবারো লিড পায় বেলজিয়াম। এবার মাঝমাঠ থেকে ডি ব্রুয়েনের ডান পায়ের অসাধারণ ক্রসে হেড দিয়ে বিশ্বকাপে গোলের খাতা খোলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা লুকাকু। ৭৫ মিনিটে আবারো গোল করেন লুকাকু। এবার বলের যোগানদাতা চেলসির ফরোয়ার্ড এডিন হ্যাজার্ড। ডি বক্সের ভেতর গোলকিপার উপর দিয়ে ট্যাপ ইনে দারুণ গোল করেন লুকাকু। ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও ‘রেড ডেভিলদের’ গোলক্ষুধা মেটেনি। ম্যাচের শেষ দিকে পানামা কয়েকটি বিক্ষিপ্ত আক্রমণ চালালেও তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে ফেবারিটের মতই ৩-০ গোলের দারুণ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো বেলজিয়াম।