বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযঞ্জ বলা হয় ফুটবলকে। পশ্চিমা দেশের অনেকে এটাকে ‘বিগ পার্টি’ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু এই ফুটবল শুরুতে ছিল ছায়ায় ঢাকা। অলিম্পিকের এতো এতো ইভেন্টের মধ্যে ফুটবলও ছিল একটি। কিন্তু ১৯৩০ সালে আলাদাভাবে আয়োজিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপ। এরপর কতো কতো রেকর্ড ছুঁয়ে গেছে। তেমন কিছু রেকর্ড এখানে উল্লেখ করা হলো:
সবচেয়ে বেশি ফাইনালে ওঠা: জার্মানি। ইউরোপের দেশটি ফাইনালে উঠেছে মোট আটবার। সাফল্য-ব্যর্থতা পঞ্চাশ-পঞ্চাশ। বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে।
সবচেয়ে বেশি শিরোপা: ব্রাজিলের, এ পর্যন্ত জিতেছে পাঁচবার। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে।
সবচেয়ে বেশি সেরা তিনে: জার্মানি। সেমিফাইনালে উঠেছে ১৩ বার। এর মধ্যে আটবার ফাইনালে, আরও চারবার তৃতীয় স্থান।
সবচেয়ে বেশি প্রথম রাউন্ড উতরানো দল: জার্মানি ও ব্রাজিল। ১৭ বার করে।
সেরা ষোলোয় সবচেয়ে বেশি: ব্রাজিল। হয়ে যাওয়া ২০ আসরের সবক’টিতেই সেরা ষোলোয় ছিল লাতিন আমেরিকার দেশটি।
সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ: ব্রাজিল। ২১ আসরের সবক’টিতেই।
টানা শিরোপা: ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে ইতালি এবং ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্রাজিল।
টানা রানার্সআপ: ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে নেদারল্যান্ডস, ১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালে জার্মানি
দুই শিরোপায় বড় ব্যবধান: ইতালির। ১৯৩৮ সালে দ্বিতীয়টি জেতার পর তৃতীয় জিতেছে ১৯৮২ সালে। ব্যবধান ৪৪ বছরের।
ফাইনালে ওঠায় বড় ব্যবধান: ৪৮ বছরের, আর্জেন্টিনার। ১৯৩০ সালের পর ফাইনালে ওঠে ১৯৭৮ সালে।
স্বাগতিকদের সেরা সাফল্য: স্বাগতিক হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছয়টি দেশ। ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে, ১৯৩৪-এ ইতালি, ১৯৬৬-তে ইংল্যান্ড, ১৯৭৪-এ পশ্চিম জার্মানি, ১৯৭৮য়ে আর্জেন্টিনা এবং ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স।
স্বাগতিকদের বাজে রেকর্ড: ২০তম হওয়া। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বাজে রেকর্ড: চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের আসরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছে ইতালি (১৯৫০ ও ২০১০), ব্রাজিল (১৯৬৬), ফ্রান্স (২০০২) এবং স্পেন (২০১৪)।
১৯৩৪ সালের পর অভিষিক্ত দেশের সেরা সাফল্য: তৃতীয় স্থান। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে পর্তুগাল, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া।
চ্যাম্পিয়ন না হয়েও সবচেয়ে বেশিবার প্রথম দুইয়ে থাকা: নেদারল্যান্ডস। দেশটি বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছে তিনবার: ১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ২০১০ সালে।
কোনো ম্যাচ না জেতা দলের সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ: বলিভিয়া ও হন্ডুরাস এ পর্যন্ত তিনবার বিশ্বকাপ খেলেছে। বলিভিয়া খেলেছে ১৯৩০, ১৯৫০ ও ১৯৯৪ সালে। হন্ডুরাস খেলেছে ১৯৮২, ২০১০ ও ২০১৪ সালে। কিন্তু এ দুটি দল তিনবার খেলেও কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি।
সবচেয়ে পরিচিত ফাইনাল: আর্জেন্টিনা বনাম জার্মানি। এ দুই দেশ ফাইনাল খেলেছে ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ২০১৪ সালে।