পরিসংখ্যানে রাশিয়া বিশ্বকাপ

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

২০০-রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়া ৭৩৬ ফুটবলারদের মধ্যে ৫৩৬ জনই প্রথমবার খেলবেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে। বাকি ২০০ জন খেলোয়াড়ের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ১৮৬ জন, ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ৬১ জন, ২০০৬ জার্মান বিশ্বকাপে ২১ জন এবং ২০০২ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে একজন খেলেছেন।

-২০০২ বিশ্বকাপে খেলা মেক্সিকোর রাফা মারকুয়েজ চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন এবার। এমন মাইলফলক আগে স্পর্শ করেছিলেন অ্যান্তোনিও কারবাজল (মেপিকো), লোথার ম্যাথুস (জার্মানি) এবং জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি)।

১০০-ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ২৩ সদস্যের সবাই তাদের ঘরোয়া লীগের। পুরো ১০০ ভাগ খেলোয়াড় নিজেদের। স্বাগতিক রাশিয়ার ২৩ জনের ২১ জন এবং সৌদি আরবের ২০ জন ঘরোয়া লীগের খেলোয়াড়। সেনেগাল এবং সুইডেন তাদের ঘরোয়া লীগের একজনকেও নেয়নি। বেলজিয়াম, আইসল্যান্ড, নাইজেরিয়া এবং সুইজারল্যান্ড নিজস্ব লীগ থেকে একজন করে নিয়েছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ৭৪ ভাগ ফুটবলারই ইউরোপের লীগগুলোতে খেলেন।

৫৩-রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ৫৩ জন খেলোয়াড় বিশ্বকাপে গোল করেছেন। এর মধ্যে আছেন জার্মানির থমাস মুলার (১০), কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ (৬)। অস্ট্রেলিয়ার টিম কাহিল, আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি এবং গঞ্জালো হিগুয়েইন ও উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ- এরা সবাই পাঁচ গোল করে করেছেন।

৪৫-রাশিয়া বিশ্বকাপে মিসরের স্কোয়াডে ঠাঁই পাওয়া গোলরক্ষক ইসাম এল-হাদারির বয়স ৪৫ বছর ৫ মাস। বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন মিসরের গোলরক্ষকের চেয়ে ছয় বছরের ছোট মেক্সিকোর রাফা মারকুয়েজ। এবারের বিশ্বকাপে তিন কোচ আলিও সিসে (সেনেগাল), ম্লাদেন ক্রাস্তাইজ (সার্বিয়া) এবং রবার্তো মার্টিনেজ (বেলজিয়াম) এল-হাদারির চেয়ে ছোট। রাশিয়া কোনো ম্যাচে মাঠে নামলেই কলম্বিয়ার ফ্রারেড মন্দ্রগনকে (৪৩ বছর ৩ দিন)) পেছনে ফেলে বিশ্বকাপে খেলা সবচেয়ে বয়সী ফুটবলার হিসেবে নাম লেখাবেন এল-হাদারি।

২৯-উরুগুয়ের কোচ অস্কার তাবারেসের সঙ্গে সেনেগালের কোচ আলিও সিসের বয়সের পার্থক্য ২৯ বছর। ওটো রেহাগেলের পর ৭১ বছর বয়সী তাবারেজ বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বয়সী কোচ। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে গ্রিসের কোচ হিসেবে রেকর্ডটি গড়েছিলেন রেহাগেল।

১৯-রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার হলেন অস্ট্রেলিয়ার উইঙ্গার ড্যানিয়েল আরজানি। তার বয়স ১৯ বছর ৫ মাস। ২০০২ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে ফেমি ওপাবুনমি (১৭ বছর ২ মাস), ২০০৬ জার্মান বিশ্বকাপ থিও ওয়ালকট (১৭ বছর ৩ মাস), ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন (১৮ বছর ৪ মাস), ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফাব্রিস ওলিঙ্গা (১৮ বছর ১ মাস) সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার ছিলেন। এবারের বিশ্বকাপে মোট ৭৩৬ ফুটবলারের গড় বয়স ২৮ বছর, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে গড় বয়সের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি।

১৬-ম্যানচেস্টার সিটি থেকে এবারের বিশ্বকাপে খেলছেন মোট ১৬ ফুটবলার। তাদের পরেই রিয়াল মাদ্রিদের ১৫, বার্সেলোনার ১৪, চেলসি, পিএসজি এবং টটেনহাম হটস্পারের ১২ জন ফুটবলার খেলছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে মোট খেলোয়াড়দের মধ্যে ১২৪ জন ইংল্যান্ডের লীগে খেলেন। স্পেনের ৮১ এবং জার্মান লীগে খেলা ৬৭ ফুটবলার আছেন বিশ্বকাপে।

১৬-রাশিয়া আসরে জায়গা পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় সবার ওপরে আছেন মেক্সিকোর রাফা মারকুয়েজ এবং আর্জেন্টিনার হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো। দু’জনেই সমান ১৬টি করে ম্যাচ খেলেছেন। তাদের পরেই আছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি (১৫), জার্মানির মেসুত ওজিল (১৪)। ১৩টি করে ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির থমাস মুলার, ম্যানুয়েল ন্যুয়ার, স্পেনের সার্জিও রামোস এবং পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

১২-রাশিয়া আসর দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছেন দুই খেলোয়াড়- কোস্টারিকার র‌্যান্ডল অ্যাজোফিয়েফা এবং পোল্যান্ডের গোলরক্ষক লুকাস ফ্যাবিয়ানস্কি।

-২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াড থেকে ৯ জনকে রেখেছেন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো। ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা ১৬ ফুটবলারকে ব্রাজিলে রেখেছিলেন স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক।