একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১৭৩টি কলেজে কেউ আবেদন করেনি। এছাড়া ৮৬৬টি কলেজ পছন্দ থাকলেও এসব কলেজে একজনও মনোনীত হয়নি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
গত রোববার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সারাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ১৬ হাজার ৪০৬টি কলেজের আবেদন করে মোট ১২ লাখ ৩৮ হাজার ২৫২ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ১৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৫ জন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে আবেদন করে। ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচিত কলেজে ভর্তি সুযোগ পেয়েছে। প্রায় ৬২ হাজার শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি। তার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার জিপিএ-৫ ধারী রয়েছে।
ঢাকা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ১৬ হাজার ৪০৬টি কলেজে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হয়। এদের মধ্যে ১৭৩টি কলেজে কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করেনি। ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন পাঁচটি কলেজ পছন্দ দিতে পারেন। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ৮৬৬টি কলেজ পছন্দের তালিকায় রাখলেও অন্য কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেধা অনুযায়ী বোর্ড থেকে কলেজ নির্ধারণ করে দেয়ায় ৮৬৬টি কলেজ শিক্ষার্থী শূন্য রয়েছে।
ভর্তির তালিকা প্রকাশের পর প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা ঢাকা বোর্ডে ছুটে আসছেন। একাদশে ভর্তি সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে তারা কর্মকর্তাদের দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে ঢাকা বোর্ডে ভাইকে নিয়ে আসেন উম্মে হাবিবা নামে একজন শিক্ষার্থী। তিনি জিপিএ-৫ ও মোট ১১০১ নম্বর পেয়ে এসএসসি পাস করেছেন। কলেজে ভর্তি হতে ময়মনসিংহের ৫টি কলেজ পছন্দ দিলেও একটি কলেজেও ভর্তির জন্য মনোনীত হয়নি।
তিনি জানান, তার সঙ্গে পাস করা অপর এক ছাত্রী একই নম্বর পেয়ে তার পছন্দের প্রথম কলেজে মনোনীত হয়েছে। অথচ সে পছন্দের পাঁচটি কলেজ নির্বাচন করলেও একটিতেও ভর্তির সুযোগ পাননি। এ কারণে ঢাকা বোর্ডে ছুটে এসেছেন। কোনো সমাধান পেয়ে বাড়ি ফিরে যান তারা।
জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. হারুন-আর-রশিদ বলেন, সারাদেশে ১৭৩টি কলেজে শিক্ষার্থীরা একটি আবেদন করেনি। এসব কলেজের মধ্যে যাদের পাঁচ বছর অতিক্রম হয়েছে অথচ শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না সেসব কলেজ রাখার প্রয়োজন মনে করা হচ্ছে না। ভর্তি প্রক্রিয়ার পর শিক্ষার্থী শূন্য কলেজগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভর্তির সুযোগ না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজ পরিদর্শক বলেন, ভালো ফলধারীদের সকলেই ভালো কলেজে ভর্তির দিকে নজর থাকে। এ কারণে সেসব কলেজে আবেদন বেশি পড়ে। কিন্তু সেখানে সীমিত আসন থাকায় জিপিএ-৫ ধারী হলেও সকলকে ভর্তি সুযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেকে প্রথম যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো কলেজে মনোনীত হয়নি। তারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে শূন্য আসন থাকা কলেজগুলোতে নতুন করে আবেদন করতে পারবে।