সারাদেশে ২৪টি সাংগঠনিক ইউনিট জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। এ কমিটিগুলোকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন অর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান কমিটিগুলোর অনুমোদন দেন। সংগঠনের ১০৭টি ইউনিট কমিটির মধ্যে এর আগে ৪৬টি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে ২৪টি ইউনিটের নতুন কমিটি (আংশিক) ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রীয় অনেক নেতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় এক সহ-সভাপতি জানান, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান কারাগারে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। অথচ সভাপতির মুক্তির অপেক্ষা না করেই তাড়াহুড়ো করে কমিটি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় অনেক নেতা ভালোভাবে নেননি। তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কমিটি ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন জেলায়ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জেলায় ঘোষিত কমিটির নেতারা কমিটি ঘোষণায় অনিয়মের অভিযোগ করে পদত্যাগ করেছেন।
বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান রাসেল বলেছেন, ঘোষিত কমিটিতে ত্যাগী আর সক্রিয়দের মূল্যায়ন করা হয়নি। সিনিয়র-জুনিয়র মানা হয়নি। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম টাকার বিনিময়ে এই কমিটি করিয়েছেন। এর প্রতিবাদে তিনি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন অর রশিদ মামুন বলেছেন, প্রত্যেক জেলায় যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদের দিয়েই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি।
সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, সভাপতির জন্য ২৯ মে থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু জামিনের পরও সরকার তাকে ছাড়ছে না। এদিকে কমিটির জন্য কেন্দ্র থেকে চাপ থাকায় এ কমিটি দেওয়া হয়েছে।
ঘোষিত জেলা কমিটির মধ্যে বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান খান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক আলী সাদ্দাম দ্বীপ, বগুড়া জেলা সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগান, চাঁদপুর জেলা সভাপতি ইমান হোসেন গাজী, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. সারওয়ার জাহান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিলুর রহমান, কুমিল্লা মহানগর সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন শিবলু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সভাপতি নাদিমুর রহমান শিশির, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি শাহাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিন, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি আরিফুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক গিয়াস সরদার দিপু, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি সৌমেনুজ্জামান সৌমেন, সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক, জয়পুরহাট জেলা সভাপতি মামুনুর রশিদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মোক্তাদুল হক আদনান, খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি শাহেদুল হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন, সাধারণ সম্পাদক এস আর শিপন বিশ্বাস, লালমনিরহাট জেলা সভাপতি নাজমুল হুদা লিমন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম আনন্দ, লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাগুরা জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সবুজ, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি রুবেল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মোজাম্মেল হক মুন্না, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম তুষার, নওগাঁ জেলা সভাপতি রুবেল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মুমিন বিন ইসলাম দোহা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি শাহেদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মশিউর রহমান রনি, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব, নোয়াখালী জেলা সভাপতি আজগর উদ্দীন দুখু, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান, পিরোজপুর জেলা সভাপতি হাসান আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেল, রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি ফারুক আহম্মেদ সাব্বির, সাধারণ সম্পাদক আলি আকবর সুমন, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি রায়হান উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির সোহাগ।