ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের নরসিংহদিয়া গ্রামে রেশমা বেগম (৩০) নামের এক নারীর হাত কেটে নিয়েছে তার সৎ ছেলে আল আমিন শেখ (২১)।
রোববার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। রেশমা ওই গ্রামের নুর ইসলাম শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী।
আহত রেশমা বেগম জানান, লেবাননে থাকাকালীন সময়ে মোবাইলে কথা হতো প্রতিবেশী নুর ইসলামের সঙ্গে। সেখান থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে যায়। দেশে ফিরে গত ৫ মাস আগে নুর ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার প্রথম স্ত্রী আকলিমা ও ছেলে আল আমিন পারিবারিকভাবে ঝগড়া বিবাদ লেগে রাখতো। ঘটনার দিন সকালে ছেলে আল আমিন আচমকা ধারালো ছ্যান দা দিয়ে দুই হাত পায়ে কোপ দেয়। পরে গ্রামের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্বামী নুর ইসলাম জানান, প্রথম ঘরে তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে আল আমিন সবার বড়। আমি দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলে শুরু থেকেই ক্ষিপ্ত ছিল। আমার দুই পরিবার গ্রামের পাশাপাশি দুটি বাড়িতে ছিল। আমি কৃষি কাজ করে হলেও সবার ভরণ পোষন চালিয়ে আসছিলাম। তবুও ছেলে তার দ্বিতীয় মাকে মেনে নিতে না পারায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় কোনো অভিযোগ করতে পারিনি।
হাসপাতালের চিকিৎসক অনাদি রঞ্জন মন্ডল বলেন, রেশমার বাম হাত কব্জির উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ডান হাতেও মারাত্মক জখম রয়েছে। এছাড়া দুই পা ও শরীরে কোপানো হয়েছে। রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি এএফএম নাসিম বলেন, এইমাত্র ঘটনার সংবাদ পেলাম বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।