পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে পলাতক ঘোষণা করে তাকে দেখামাত্র গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এ ছাড়া পারভেজ মোশাররফের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবানের ৫ সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ১৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত এ রায় দেয়।
পাকিস্তানের শীর্ষ পত্রিকা ডন-এর অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, বেনজির হত্যা মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০০৭ সালে বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডের সময় রাওয়ালপিন্ডির পুলিশ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সউদ আজিজ। ওই সময় রাওয়াল টাউনের পুলিশ সুপার ছিলেন খুররম শাহজাদ। তাদের দু’জনকেই ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জামিনে মুক্ত থাকা এই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালত এই দুই পুলিশ সদস্যকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস জেল দিয়েছে।
পাকিস্তান পেনাল কোডের ১১৯ ধারা ও ২০১ ধারা মোতাবেক তাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বেনজির ভুট্টোকে আততায়ীরা হত্যা করে। ওই সময় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। যিনি বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।
বেনজির হত্যাকান্ড মামলায় ২০১৩ সালে মোশাররফকে হত্যা, ষড়যন্ত্র ও সহায়তার জন্য অভিযুক্ত করা হয়।